বঙ্গরাজনীতির এখন সবথেকে চর্চিত বিষয় হল দিলীপ ঘোষের বিয়ে। এদিকে দল এবং আরএসএসের তরফ থেকে অনেকেই দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করতে বারণ করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল। এই আবহে এক রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে তৈরি হয়েছিল ‘বিতর্ক’। তবে সেই বিতর্কে জল ঢাললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumder)। দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে দলের অন্দরে এবং রাজনৈতিক মহলে অনেকেই প্রশ্ন ছিল, আরএসএসের প্রচারক হয়ে দিলীপ কীভবে বিয়ে করছেন? তবে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিলেন সুকান্ত। জানিয়ে দিলেন সঙ্ঘ থেকে বিজেপিতে আসার পর দিলীপ ঘোষ প্রচারক পদ থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন। সুকান্ত এই আবহে লালকৃষ্ণ আডবাণী থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজনের উদাহরণ তুলে ধরেন, যারা সঙ্ঘ প্রচারক থাকার পরে বিয়ে করেছিলেন।
এদিকে সুকান্ত জানান, আজ তিনি ছাড়াও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসলরা এসে দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গিয়েছেন। এদিকে উপহারে ফুল, মিষ্টি, ধুতি দিয়েছেন বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। এদিকে তৃণমূলের অনেক সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, বিয়ের মাধ্যমে একপ্রকার রাজনীতি থেকে অবসরে যাচ্ছেন দিলীপ। এই বিষয়ে সুকান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি দিলীপের ওপর ছেড়ে দেন। তবে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতেও দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকবেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে এত বয়সে দিলীপের বিয়ে করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সি সহ একাধিক রাজনীতিক ব্যক্তিত্বের নাম তুলে ধরেন সুকান্ত। এদিকে দিলীপ বিয়ে করায় তাঁর মা খুব খুশি বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরই সঙ্গে সুকান্ত জানান, আজ আইনি এবং বৈদিক মতে বিয়ে হবে দিলীপ ঘোষের। শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠরাই বিয়েতে আমন্ত্রিত। উল্লেখ্য, ষাটোর্ধ্ব দিলীপ ঘোষের আজ বিয়ে ৫১ বছর বয়সি রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে। এই নিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে তুমুল হইচই। রিঙ্কু নিউটাউনের বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী। দিলীপই নাকি রিঙ্কুকে বিজেপির মহিলা মোর্চায় নিয়ে এসেছিলেন। সম্প্রতি ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ম্যাচের সময় দিলীপ ঘোষ আর রিঙ্কুর বিয়ের পাকা কথা হয় বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে।