আজ, সোমবার শালবনিতে জিন্দাল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট গড়ে তুলতে ১৬,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করছেন সজ্জন জিন্দালের সংস্থা জেএসডব্লিউ এনার্জি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও সেখানে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। শালবনিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন জিন্দাল গোষ্ঠীর শীর্ষকর্তারাও। শিলান্যাসের ৪২ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ৪৮ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে জানানো হয়। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কর্ণধার সজ্জন জিন্দল।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘোষণায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন শালবনি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ। আর যাঁরা একসময় জমি দিয়েছিলেন বড় কারখানার জন্য তাঁরাও আজ সাক্ষী থাকলেন। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল বলেন, ‘লাখ বছর পর দিদির মতো নেতা পাওয়া যায়। গরিবদের জন্য দিদির সবসময় ভাবনাচিন্তা থাকে। আমি ৮–১০ বছর বাদে শালবনিতে এলাম। গত ১০ বছরে বিরাট উন্নয়ন হয়েছে এখানে। তার ক্রেডিট মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। রাজ্যের উন্নতিতে দিদি অনেক কাজ করেছেন।’ আর আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন গোয়ালতোড়ের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট–সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে হাজির ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং সাংসদ জুন মালিয়া। আর সজ্জন জিন্দালের বক্তব্য, ‘শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে মনে হয়, এরকমই হওয়া উচিত। এখানকার জমি কৃষকদের। তাই তাঁরা যাতে উপকৃত হন, সেটা আমাদের দেখা কর্তব্য। দিদিও আমাকে সে কথা বারবার বলেছেন। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনও দূষণ হবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করব। এই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তা মাথায় রেখেই এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।’
এছাড়া শালবনিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সজ্জন জিন্দাল। শিলান্যাস হল ২০০০ একরের শিল্প পার্কেরও। শালবনিতে যে জমিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে তা আদতে কৃষকদের। এই পরিপ্রেক্ষিতেই জেএসডব্লিউ গ্রুপের কর্ণধারের কথায়, ‘আজ এখানে এসে দিদির সঙ্গে সময় কাটিয়ে খুব ভাল লাগল। দিদির সঙ্গে ১৫ মিনিট কথা বললাম। যেমনভাবে মা, পরিবারের সঙ্গে কথা বলি, তেমনভাবেই মনে হল দিদির সঙ্গে কথা বলছি। দিদিকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করে না। আমার ছেলে এখানে গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলে। আমরা এখানে পরিবারের মতো থাকতে চাই। আপনাদের জমিতে এই ফ্যাক্টরি হয়েছে। তাই আপনারা সবাই বেনিফিট পাবেন। এখানে যত কাজ হবে আপনারা সবাই সেটার সুবিধা ভোগ করবেন। এটা আমি নিশ্চিত করছি। দিদিও সেটা বলেছে।