অভিনেত্রী হিসাবে নুসরত ভারুচা বলিউডের ফিল্ম দুনিয়ায় যথেষ্ঠ পরিচিত নাম। তাঁর সঙ্গে নিশ্চয় নতুন করে আলাপ করানোর প্রয়োজন নেই? সম্প্রতি ছোড়ি-২ তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আপাতত সেই ছবি নিয়েই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে। আর তেমনই এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কথা বলেছেন নুসরত।
নুসরত ভারুচার বিশ্বাস, ঈশ্বর এক, কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছানোর পথ অনেক। অভিনেত্রী বলেন, তিনি নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন এবং কেদারনাথে গিয়ে নন্দীর কানে ইচ্ছাও প্রার্থনা করেন। তিনি সকল ধর্মকে সম্মান করেন। তবে মুসলিম হয়েও গীর্জা বা মন্দিরে যাওয়ার জন্য কীভাবে ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে, কীভাবে তিনি তাঁর মোকাবিলা করেন, সেবিষয়েই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
কেদারনাথে পাওয়া শান্তি
নুসরত ভারুচা মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তবে এরপরেও তিনি কেদারনাথ গিয়েছিলেন এবং যার জন্য ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হন। শুভঙ্কর মিশ্রের পডকাস্টে নুসরত এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শান্তি অনুভব করেছি। ওখানে এত মানুষ ছিল কিন্তু আমার মন শান্ত ছিল। আমার মনে বা আত্মায় কোনও অস্বস্তি ছিল না। আমার মধ্যে একটা স্থিরতা এসেছিল। তাই আমি সেখানে বসেছিলাম। সেখানে অনেক আওয়াজ ছিল কিন্তু আমি শুধুই বাতাসের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি ইসলাম ধর্ম মানি কিন্তু শিব আমাকে শান্তি দেন। আমি তো বৈষ্ণোদেবীতেও গিয়েছি, শিব-ই আমাকে ডেকেছিলেন।’
গীর্জাতেও যান নুসরত
নুসরত জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও উদারমনা। তিনি তাঁর কাকিমার সঙ্গে গীর্জায় গিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আসেন। নুসরত বলেন, তাঁর বাবা-মা বলেন, বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। এটা কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। যে প্রার্থনায় আপনার শান্তি মেলে, সেটাই করা উচিত। নুসরত বলেছেন, আমি নামাজও পড়ি। আমি ওটাকে সঙ্গে নিয়েই ভ্রমণ করি। সময় পেলে পাঁচবার নমাজ পড়ি। সেখানেও আমি শান্তি পাই। আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর এক। তাঁকে প্রার্থনা করার পদ্ধতি অনেক। আমি বিভিন্ন পদ্ধতিই চেষ্টা করে দেখি।
ট্রোলিংয়ের প্রভাব
নুসরতকে জিগ্গেস করা হয়েছিল যে, তাঁকে কি শুনতে হয়েছে যে, মুসলিম হয়ে মন্দির ও গীর্জায় যাওয়ার ফলে তিনি ইসলামকে কলঙ্কিত করছেন? এর উত্তরে নুসরত বলেন, মানুষ তো কত মন্তব্যই করেন। সবেতেই সমালোচনা হয়। তাই কার কী ভাবনা, তা আমার কাছে কোনও বিষয় নয়। এমন নয় যে, কমেন্ট পড়ার পর আমি মন্দিরে যাব না বা নমাজ পড়ব না। আমি দুটোই করব।