বছরের শুরুতেই খবর এসেছিল বিয়ে ভেঙছে ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম তারকা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ (Virender Sehwag) ও তাঁর স্ত্রা আরতির। বিয়ের ২১ বছর পর ‘গ্রে ডিভোর্সের’ পথে হেঁটেছেন দম্পতি, এমন খবরও আসতে থাকে। যা শুনে যারপরনাই অবাক হয়েছিল অনেকে। কারণ ফি বছর, বেশ মজাদার বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা আসত সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরতির জন্মদিনেও ভুলতেন না পোস্ট করতে। তবে এই ডিভোর্স-চর্চায় দুই পক্ষই মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।
এবার সেহওয়াগ ও আরতির বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক সাক্ষাৎকারে দাদা জানালেন, এই রটনা নাকি সম্পূর্ণভুল। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বর্তমান সময়ের দাম্পত্য ও ডিভোর্স নিয়ে কথা বলার সময় দাবি করেন, অনেককে নিয়েই ডিভোর্সের ভুয়ো খবর বের করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
এরপর নাম জানতে চাওয়া হলে, সৌরভের জবাব ছিল, ‘যেমন, বীরেন্দ্র সহবাগ। স্বামী-স্ত্রীতে দিব্যি আছেন। কোনও বিচ্ছেদ হয়নি। অকারণ ওঁদের বিচ্ছেদের খবর লিখে সংবাদমাধ্যম সাড়া ফেলে দিল।’২০২৫ সালের শুরুতেই খবর রটে যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে আনফলো করে দিয়েছেন সেহওয়াগ ও আরতি। যদিও আরতির প্রোফাইল প্রাইভেট, তাই ঝলিয়ে নেওয়ার উপায় ছিল না। তবে সেহওয়াগ যাদের ফলো করেন, সেখানে তখন ছিলেন না আরতি। যদিও ক্রিকেটারের প্রোফাইলে স্ত্রীর সঙ্গে কিছু ছবি ছিল, তবে তা সবই পুরনো।এরপর একাধিক মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে খবর আসতে থাকে যে, বেশ কয়েক মাস ধরেই আলাদা থাকছেন দুজনে। বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা! দাবি করা হতে থাকে যে, ক্রিকেট মাঠের কিংবদন্তি সেহওয়াগের সঙ্গে আরতির সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর আগেই নাকি তলানিতে এসে ঠেকেছিল। তারই ফল এই বিচ্ছেদ।
এমনকী, অনেকে টানতে থাকে ২০২৪-এর দিওয়ালির প্রসঙ্গ। যখন সেহওয়াগ তাঁর দুই ছেলে ও নিজের মায়ের সঙ্গে উদযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। সেখানে আরতির না ছবি ছিল, না নাম। দাবি উঠতে থাকে, বহু মাস ধরেই নাকি এই দুজনের ছাদও আলাদা।
আরতি আহলাওয়াত ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে লেডি আরউইন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং তারপর ভারতীয় বিদ্যা ভবন স্কুলে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রেয়ী কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা করেন। ২১ বছর বয়সে শেহওয়াগ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আরতিকে। তাঁরা দূর সম্পর্কের খুরতুতো ভাই-বোন হওয়ার কারণে প্রথমে দুই বাড়ির তরফে অমত ছিল এই সম্পর্কে। তবে সব বাধা কাটিয়ে, ২০০৪ সালে ২২ এপ্রিল বিয়ে হয় তাঁদের।
এরপর শেহওয়াগ ও আরতির কোলে আসে তাঁদের দুই ছেলে। ২০০৭ সালে জন্ম হয় আর্যবীরের। আর ২০১০ সালে এই দম্পতির কোলে আসে তাঁদের ছোট সন্তান বেদান্ত। আরতি পেশায় একজন উদ্যোগপতি। ইভেন্টুরা ক্রিয়েশনস প্রাইভেট লিমিটেড, এভিএস হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড, এএসভি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসএমজিকে অ্যাগ্রো ইম্পেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক চারটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন বর্তমানে।