গুলি করে মেরে দিন। কারোর কথা শুনব না। দুটো গেট বন্ধ করে রাখো। বলছে চতুর্থ কাউন্সেলিং থেকে সব কাউন্সেলিং বাতিল। এটা কি মামার বাড়ির আবদার! এসএসসি ভবন থেকে বেরিয়েই হুঙ্কার চাকরিহারা শিক্ষকের। তুমুল আন্দোলন শুরু এসএসসি ভবনের সামনে। তাদের দাবি কাউন্সেলিং প্রসঙ্গ শুনেই আমরা এসএসসি ভবনের ভেতরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করি।
এসএসসি ভবনের সামনে তুমুল আন্দোলন। বলা ভালো বিদ্রোহ! চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, যদি একজন যোগ্যেরও চাকরি যায় তাহলে রাজ্য অচল করে দেব। আমাদের চাকরি গেছে পর্ষদের দুর্নীতির জন্য। আমাদের চাকরি গিয়েছে সরকারের দুর্নীতির জন্য। আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুক। যতক্ষণ না ফল মিলছে আমরা যাব না। ২কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিন। দাবি চাকরিহারা শিক্ষকদের।
মুখ্য়মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, এসএসসির চেয়ারম্যানের পদত্য়াগের দাবি তুলেছেন তারা। চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবি, ওদের দায় আমরা নেব কেন?
কথা ছিল ক্লাসরুমে যাবেন। কিন্তু সেটা হল না। তারা ঠা ঠা রোদে আচার্য সদনের সামনে বসে ছিলেন। তারা চাকরিহারা শিক্ষক। চোখে মুখে চরম হতাশা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তবু সকাল থেকে ক্ষীণ আশা ছিল, হয়তো সন্ধ্যা বেলা যোগ্য় ও অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। এসবের মধ্য়েই এসএসসি ভবনের ভেতরে যান ১৩জনের প্রতিনিধিদল। এরপর তারা ভেতরে জানতে পারেন যে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে সব কাউন্সেলিংয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনটাই দাবি চাকরিহারাদের।
এবার প্রশ্ন তাহলে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের কী হবে?
এরপরই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাদের দাবি, এসএসসি ভুলের জন্য কেন আমাদের দায় নিতে হবে? হাইকোর্টে, ডিভিশন বেঞ্চে, সুপ্রিম কোর্টে বলতে পারত এসএসসি। কিন্তু সেটা না বলে কেন আমাদের পথে বসাল ওরা?
এসএসসি ভবনের সামনে বসে পড়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবুও তারা সেখান থেকে উঠতে চাননি। তারা শিক্ষামন্ত্রী ও এসএসসির চেয়ারম্যানের পদত্য়াগের দাবি তোলেন। তাদের দাবি সারা রাত বসে থাকব। রাতের পর রাত আমরা রাত জেগে পড়াশোনা করে একটা চাকরি পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চাকরি করার কিছুদিন পরে জানতে পারলাম আমাদের চাকরি নেই।
টাকা দিয়ে চাকরি আর পরীক্ষা দিয়ে চাকরি। এই দুটি বিষয় এতদিন ছিল। এবার শুনতে পাচ্ছি তিনটি কাউন্সেলিংয়ের পরে নাকি সবই অবৈধ। কিন্তু এই কাউন্সেলিংয়ের প্রসঙ্গটা এল কীভাবে?