এবার জাতীয় মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে পালটা ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র(Mohua Moitra)। বলা ভালো রীতিমতো চ্য়ালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি।জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে নিশানা করে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। এরপরই এনিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাঁধে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গিয়েছিলেন রেখা শর্মা(Rekha Sharma)। সেখানকার একটি ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছিল। সেখানেই নানা মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল রেখা শর্মা হাঁটছেন। আর অপরজন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। মহুয়া মৈত্র তাঁর মন্তব্যে এনিয়ে এমন মন্তব্য করেছিলেন যা জাতীয় মহিলা কমিশনের শোভন বলে মনে হয়নি। এরপরই জাতীয় মহিলা কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হয়েছিল।
এরপর মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বতপ্রণোদিত মামলাও হয়। এমনকী এটাও বলা হয় যে মহুয়া মৈত্রর(Mohua Moitra) বিরুদ্ধে একটা এফআইআর নথিভুক্ত করা দরকার ও ৩ দিনের মধ্য়ে কমিশনকে একটি বিশদ রিপোর্ট জানানো দরকার।
আর জাতীয় মহিলা কমিশনের সেই নির্দেশের পালটা দিলেন মহুয়া মৈত্র(Mohua Moitra)। রীতিমতো খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি।
এদিকে এসবের মধ্য়ে বিজেপির এক নেত্রীর পক্ষ থেকেই পালটা ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে এমন ছবি শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে মহুয়ার মাথায় ছাতা ধরা রয়েছে। সেই ছবি দেখিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে আপনি ওই সময় …?
সেই সঙ্গেই এবার রেখা শর্মার একাধিক টুইট সামনে এনেছেন মহুয়া মৈত্র। সেসব দেখিয়ে মহুয়া(Mohua Moitra) লিখেছেন, দিল্লি পুলিশ নয়া আইনে আপনি কি এই সিরিয়াল অফেন্ডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন?
এরপরই ফুঁসে উঠলেন মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, আসুন দিল্লি পুলিশ এই সুয়োমোটো অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন। যদি তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করতে চান তবে আমি বলছি আগামী তিনদিন নদিয়ায় আমি আছি। আমি আমার মাথায় ছাতা নিজেই ধরতে পারি।
এবার দেখা যাক জাতীয় মহিলা কমিশন কী জানিয়েছিল?
জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছিল, জাতীয় মহিলা কমিশন মহুয়া মৈত্র(Mohua Moitra) যে মন্তব্য করেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে স্বতপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এনসিডব্লিউর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এটা মহিলাদের সম্মানহানির পক্ষে যথেষ্ট। ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ৭৯ ধারা অনুসারে এটা মর্যাদাহানিকর। মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তিনদিনের মধ্য়ে বিস্তারিত অ্যাকশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে।