ক্রমশ কলকাতা আরও বেশি করে বিশ্বজনীন হয়ে উঠছে। বিশ্বের নানা প্রান্তের বিখ্যাত স্থাপত্যের আদলে কলকাতায় বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপত্য। এর পাশাপাশি ভারতেরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যের প্রতিলিপিও স্থাপিত হয়েছে এই শহরে। এবার সেখানে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ দেবের মন্দির এবং তিরুপতি মন্দির।
শুনে চমকে যাচ্ছেন? ভাবছেন, এবার তাহলে কলকাতাতেই পূণ্য সেরে ফেলে যাবে অনেকটাই? তাহলে একটি কথা বলে রাখা ভালো। এই মন্দির কিন্তু একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। মানে, অল্প সময়ের জন্য বানানো হবে এই মন্দির।
এবার কি বুঝতে পারছেন বিষয়টি কী? যদি না পেরে থাকেন, তাহলে আরও একটি বিশদে বলা যাক।
সংবাদ প্রতিদিনের ডিজিটাল সংস্করণ সূত্রে জানা গিয়েছে, একডালিয়া এভারগ্রিনে এবার মণ্ডপ তৈরি হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। আর লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এবার তিরুপতি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে চমক দিতে চলেছে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই পুজোর থিমে বরাবরই থাকে সাবেকি ছোঁয়া। ২০২৩ সালে একডালিয়া এভারগ্রিনের মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রের জৈন মন্দিরের ধাঁচে। আর এবার তা হতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। সংবাদ প্রতিদিনকে এই তথ্যই দিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
অন্যদিকে, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এর আগে কখনও ডিজনিল্যান্ড, কখনও ভ্যাটিকান সিটি, আবার কখনও বুর্জ খলিফার মণ্ডপ তৈরি করে চমকে দিয়েছিল। সর্বধর্ম সমন্বয়ে এবার তাদের থিম অন্ধ্রের তিরুপতি মন্দির। সেই আদলে মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
বাঙালিদের কাছে উৎসব বিষয়টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তা যদি হয় দুর্গাপুজো— তাহলে তো কথাই নেই। বছরের সেরা উৎসবে বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেন পুরোদমে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, প্রতিটি পুজোর উদ্যোক্তাদেরও লক্ষ্য থাকে, প্রতি বছর নতুন কিছু করে চমক আনার। আর সেই জন্যই প্রতি বছর তৈরি হয় নতুন নতুন পুজোর থিম।
কি এবারে বোঝা গেল? যদি এর পরেও বুঝতে অসুবিধা হয়— তাহলে সরাসরি বলে দেওয়া ভালো, এবার কলকাতায় তৈরি হচ্ছে দুই বিখ্যাত মন্দিরের আদলে পুজোর প্যান্ডেল।
হাতে আর ৯০ দিনের কিছু বেশি সময়। তার পড়েই এসে পড়বে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির প্রস্তুতি। তারই মধ্যে শহরের দুই বড় পুজো উদ্যোক্তারা জানালেন, এবারের পুজোয় তাঁদের থিম দুই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে।