Mahesh Rath Yatra: ‘পুরী নয়,মাহেশের রথ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়’

Spread the love

রবিবার রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়াতে শুরু হয় প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। মাহেশের ‘অলৌকিক’ জগন্নাথের কাহিনি নিয়ে রচনার দিদি নম্বর ১(Didi No 1)-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন স্তুতি অধিকারী। মাহেশের(Mahesh) জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত পরিবারের কন্যা তিনি।

রচনার সামনে মাহেশের রথযাত্রার মাহাত্ম্য় ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন স্তুতি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘পুরো বিশ্বের মধ্যে আমাদের রথ হল সবচেয়ে বড়, পুরীরও না। পুরীর(Puri) কিন্তু জগন্নাথ দেবের রথের নন্দীঘোষ, বলভদ্রের রথ তালধ্বজা এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলন, তার হাইট কিন্তু আমাদের সমান নয়, আমাদের ৫০ ফুট লম্বা’।

পুরীর পর দেশে বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রথযাত্রা হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশ রথযাত্রা। তবে মাহেশের রথ দেশের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু এমনটা নয়। ওড়িশার কেওনঝড় বা কেন্দ্রপাড়ার ভগবান বলদেবজিউর মন্দিরের রথ সবচেয়ে উঁচু। যে রথের নাম ব্রহ্মা তালধ্বজ। যার উচ্চতা ৭২ ফুট। ১৬৭১ সালে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে ঐতিহ্য-পরম্পরা মেনে সেখানে পালিত হয় রথযাত্রা। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রথ।

তাই স্তুতির দাবি আংশিক সঠিক হলেও পুরোটা নয়। পুরীর চেয়ে মাহেশের রথের উচ্চতা বেশি এ কথা ঠিক। 

স্তুতি আরও জানান, মাহেশের এই রথ শ্যামবাজারের বসু (জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র বসু) পরিবার দান করেছিলেন। মাহেশের রথের চারটি তলা, প্রথম তলে রয়েছে চৈতন্যলীলা, তারপর রামলীলা, তারপর কৃষ্ণলীলা, তারপর জগন্নাথ দেবের সিংহাসন। স্তুতি অধিকারীর হাতেই উঠেছে দিদি নম্বর ১-এর শুক্রবারের এপিসোডের খেতাব। তবে স্তুতির এই কথা শুনে নেটপাড়ার অনেকেই তাঁকে অকারণ ট্রোল করেন। একজন লেখেন, ‘ফেক কথা’। আরেকজন লেখেন, ‘এই মহিলা গাঁজাখুরি গল্প বলছেন’। কিন্তু স্তুতির দাবি কি ঠিক? সত্যি কি পুরীর চেয়ে উচ্চতায় বেশি উঁচু? হ্যাঁ, পুরীতে জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলভদ্রের তিন রথের চেয়ে সত্যিই মাহেশের ১৩৯ বছরের পুরোনো রথের উচ্চতা বেশি। পুরীর জগন্নাথ দেবের রথের নন্দীঘোষ, বলভদ্রের রথ তালধ্বজা এবং সুভদ্রার রথ দর্পদলনের উচ্চতা ৪৫ ফুটের আশেপাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *