Sudipa Chatterjee: গরুর মাংস রান্না বিতর্কের মাঝেই নিরামিষ কষা মাংস রাঁধলেন সুদীপা

Spread the love

ওপার বাংলার রান্নার শো-তে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়(Sudipa Chatterjee)। কিন্তু সেই শো-তে যোগদান যে এমন অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা। বিফ কোফতা রান্না করা শিখে কট্টরপন্থীদের চক্ষূশূল হয়ে ওঠেন সুদীপা(Sudipa Chatterjee)। অনেকেই নাক সিঁটকে বলেন, ‘বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়, অথচ গোরুর মাংস রান্না শিখলেন?’

বিতর্ক, ট্রোলিং-এর মাঝে এবার সুদীপা হাজির নিরামিষ কষা মাংসের রেসিপি নিয়ে। ইউটিউবে নিজের কুকারি শো নিয়ে এসেছেন অগ্নিদেব ঘরণী। সেখানেই রথযাত্রা উপলক্ষ্য়ে সুদীপা শেখাবেন এই বিশেষ রেসিপি। গত মাসে জামাই ষষ্ঠীর ঠিক আগে ‘সুদীপার সংসার’-এর জার্নি শুরু হয়েছিল। সপ্তাহ শেষে অর্থাৎ শনি ও রবিবার ইউটিউবে দুটি রান্নার এপিসোড হাজির করেন সুদীপা।

এই সপ্তাহে নিরামিষ কষা মাংস ছাড়াও সুদীপার(Sudipa Chatterjee) ঝুলিতে থাকছে আলুর দম পোলাও, কাজু ক্ষীরের রেসিপি। মাংস আমিষ হলেও ‘নিরামিষ মাংস’ও কিন্তু অজানা নয়। মূলত ভোগের পাঁঠার মাংস রান্নাই হল ‘নিরামিষ মাংস’। এই রান্নায় পিঁয়াজ-রসুন ব্যবহার হয় না বলেই একে নিরামিষ মাংস বলা হয়।

সুদীপা জানান, নিরামিষ কষা মাটন রাঁধতে, মাটন সিদ্ধ করে স্টক আলাদা করে রাখতে হবে। তার সঙ্গে লাগবে, টমাটো বাটা, তেজপাতা, জির-জাফল

তেল গরম করে তার মধ্যে তেজপাতা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। এরপর টমাটো, আদা বাটা এবং হলুদ বাটার পেস্ট দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর যোগ করতে হবে চিনি ও স্বাদমতো নুন। ভালোভাবে কষানোর পর সিদ্ধ করা মাটন যোগ করতে হবে।

এরপর দিতে হবে এই রেসিপির মেইন মশলা। যাতে রয়েছে জিরে, শুকনো লঙ্কা, মৌরী, জায়ফল ও জয়িত্রী। এই মশলাগুলো রোস্ট করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। সঙ্গে দিত হবে পোস্ত বাটা। তারপর কড়াই ঢাকা দিয়ে আরও একটু সিদ্ধ করতে দিতে হবে।

হার্টের রোগীদের পক্ষে পাঁঠার মাংস খাওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সেই আলোচনাও এই এপিসোডে উঠে আসবে। চর্বিযুক্ত মাংস বা রেড মিট হার্টের পক্ষে ভালো নয়, এটা ঠিক,তবে পরিমাণ মতো মাসে এক-দু’বার খেলে ক্ষতি নেই। জানান সুদীপার শো-তে উপস্থিত হার্ট বিশেষজ্ঞ। 

প্রসঙ্গত, বিফ কোফতা বিতর্কে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সুদীপা। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেছেন, ‘এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে, নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর কারোর। তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আশাকরি আগামী দিনে এটা আমি মনে রেখে, মাথায় রেখে চলব। এধরনের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *