Jadavpur University: যাদবপুরে ঘেরাও র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের

Spread the love

গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University) মেন হস্টেলে ভয়ঙ্কর র‌্যাগিংয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। এই ঘটনায় বর্তমানে মামলা চলছে আদালতে। তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও কর্ম সমিতির বৈঠকে দোষীদের শাস্তির বিষয়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং(Ragging) কমিটির সুপারিশ গৃহীত হয়েছে। তবে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল কর্ম সমিতির আরেকটি বৈঠকে। শুক্রবার হয় সেই বৈঠক। কিন্তু, সেই বৈঠকে অন্তবর্তী উপাচার্য সহ কর্ম সমিতির অন্যান্য সদস্যদের ঘেরাও করল পড়ুয়ারা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, যারা এই ঘেরাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের বেশ কয়েকজন র‌্যাগিংয়ে সরাসরি অভিযুক্ত। বিভিন্ন দাবিতে এদিন তারা কর্মসমিতির সদস্যদের ঘেরাও করে। প্রায় রাত আড়াইটা নাগাদ চলে ঘেরাও। পরে সমিতির সদস্যদের আশ্বাসে তারা ঘেরাও তুলে নেয়।

প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রায় এক বছর হতে চলল। কিন্তু, তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যাদবপুরের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। তাদের বক্তব্য , এত দেরি হল সেক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। অন্যদিকে, ঘেরাওয়ের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কর্মসমিতিতে রাজ্যপালের প্রতিনিধি কাজী মাসুম আখতার। তিনি বলেন, এই ঘেরাও সংস্কৃতি চলবে না। র‌্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য কাজে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে এত দেরি হচ্ছে। তা মোটেও মেনে নেওয়া যাবে না।

মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, এক বছর হয়ে যাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছেলের মৃত্যুর সুবিচার করতে পারেনি। উলটে দোষীদের শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যারা ঘেরাও করেছে তাদের অনেকেই তাদের ছেলের মৃত্যুতে জড়িত। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পিএইচডিতে ভর্তি নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। এদিনের কর্মসমিতির বৈঠকে এনিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি এর তদন্ত করবে।

জানা গিয়েছে, যারা এদিন ঘেরাও করেছিল তাদের দাবি ছিল, কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? তার কারণ জানাতে হবে। তদন্ত কমিটির সামনে ভিডিয়োগ্রাফি সহ বিস্তারিত তথ্য সামনে আনতে হবে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সেই দাবি মেনে নেয় কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, ছাত্ররা আত্মপক্ষ সমর্থনের দাবি করেছিল। আইন অনুযায়ী তা করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রথমে শোকজ করা হবে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। তারা যা কমিটির কাছে বলবে তার রেকর্ডিংও কর্তৃপক্ষ দেবে। শোকজের সময়সীমা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা ঠিক করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *