সম্প্রতি সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। পাশাপাশি সরকারি জমি যাতে দখল না হয়ে যায় তার উপরও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ, প্রশাসন, পুরসভা ও ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। এবার আরও একবার সরকারি আধিকারিকদের এনিয়ে সতর্ক করল ভূমি দফতর। সম্প্রতি ভূমি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন ভূমি দফতরের সচিব বিবেক কুমার। তিনি দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি দ্রুত পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকের সচিব নির্দেশ দিয়েছেন, শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। অফিসে অভিযোগ জানাতে গেলে মানুষ যাতে কোনও হয়রানি শিকার না হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে এডিএমদের সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন সচিব। সাধারণত জমি মিউটেশন সহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের অভিযোগ থাকে। সেই অভিযোগ মেটাতে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সচিব। এছাড়াও জমি দখলের অভিযোগ পেলে এফআইআর করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নামতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন এবং আধিকারিকদের। জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। তিনি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি ছিলেন দেবাশিস। তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি তিনি যে সমস্ত জমি দখল করেছিলেন সেগুলিও পুনরুদ্ধার করে প্রশাসন। এর মাধ্যমে শাসক দল স্পষ্টভাবে বার্তা দিতে চেয়েছে জমি দখল কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার এডিএমদের (এলআর) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন সচিব। সেই বৈঠকে যাতে কোনওভাবে সরকারি জমি দখল না হয় তানিয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে কেউ নতুন করে সরকারি জমি দখল করতে যাতে না পারে তা নিয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলেই সচিব স্পষ্ট আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি দখল হয়ে যায় সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।