এক্কা দোক্কার পর স্টার জলসার শুভ বিবাহ-র হাত ধরে ছোটপর্দায় ফিরেছেন সোনামণি সাহা(Sonamoni Saha)। বিপরীতে হানি বাফনা। টিআরপি তালিকায় শুরুতেই নজরকাড়া এই মেগা। ডিভোর্সি মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ের প্রেক্ষাপটে সাজানো তেজ ও সুধার গল্প।
নতুন জুটির নতুন রসায়ন তো হিট, কিন্তু বাস্তবে কতটা জমল হানি-সোনামণির(Sonamoni Saha) বন্ধুত্ব? বিয়ে ভাঙার পর নিজে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন সোনামণি? সব নিয়ে অকপটে কথা বললেন পর্দার সুধা।
টিআরপি তালিকায়, শুভ বিবাহের রেটিং দেখে কতটা সন্তুষ্ট? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেলন, ‘ভালো লাগছে। প্রশংসা কার না ভালো লাগে। চেষ্টা করছি, যাতে আরও ভালো কাজ করতে পারি।’
ডিভোর্সি মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে কি আজও আমাদের সমাজে ট্যাবু? সুধা জানান, ‘আমার মনে হয় সমাজ বদলাচ্ছে। বদলানো উচিত। আমরা অনেক সময়ই দেখি মেয়েদের ব্যাপারটা হাইলাইট হয়, তবে ছেলেদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঘটে। বিয়ে ভেঙে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয় অন্য়দিকের মানুষটার কোনও দোষ নেই। ধরে নেওয়া হয় মেয়েটিরই দোষ বা ছেলেটিরই দোষ। মনে হয় এই ব্যাপারটা ভাঙছে, মানুষ ভাবছে, মর্ডান হচ্ছে। ডিভোর্সের পরেও নতুন করে শুরু করা যায়, এটা মানুষ বিশ্বাস করছে। শুভ বিবাহের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব মানুষকে আরও মোটিভেট করার জন্য’।
সোনামণির(Sonamoni Saha)। অতীতে ঘর ভেঙেছে। বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কি আজও বিশ্বাস রয়েছে তাঁর? অভিনেত্রী বললেন, ‘বিয়ে নিয়ে ছোটবেলা থেকে আমার ফ্যান্টাসি আছে। আমার মনে হয় বিয়েটা মানুষের জীবনে খুব জরুরি একটা বিষয়। জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে… এটা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। বিয়েটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ’। এখন সোনামণির রিসেপসনশিপ স্টেটাস কী? মুচকি হেসে জবাব, ‘পুরোপুরি সিঙ্গল’।
ডিভোর্সি তকমা ঝেড়ে ফেলে ফের ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন সোনামণি। কেমন জীবনসঙ্গী চাই তাঁর। অভিনেত্রী বললেন, ‘ভবিষ্যতে ইচ্ছে তো অবশ্যই আছে। সব মেয়েরই ইচ্ছে হয় একজন ভালো লাইফ পার্টনারের সঙ্গে জীবনটা কাটাতে। আমার চাই, এমন জীবনসঙ্গী যে সোনামণিকে ভালোবাসবে, আমাকে বুঝবে, যে মানুষটা সারাজীবন আমার খেয়াল রাখবে। আর যাকে বিয়ে করার পর যেন আমার মনে না হয় কেন বিয়ে করলাম!’
কম কথার মানুষ হানি বাফনা। কো-স্টারের সঙ্গে অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব এখনও জমে ওঠেনি, পর্দার বাইরে তাঁরা শুধুই কলিগ। সোনামণি বললেন,’বন্ধুত্ব সেরকম নয়, একসঙ্গে ফ্লোরে থাকলে কলিগদের মধ্যে যেটুকু কথাবার্তা হয়। এমন সুযোগ হয়নি কাজের বাইরে অন্যকিছু নিয়ে হানির সঙ্গে কথা বলার। সিন নিয়েই আমাদের কথা হয়। সবাই যা বলে, হানিদা ফ্লোরে একটু কমই কথা বলে। আমাদের সেরকম একসঙ্গে সিন হয়নি। আশা করছি যত দিন যাবে আরও জানতে পারব’।