ভাঙড়ে চোর সন্দেহে পিটিয়ে(lynching) খুন করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। থানা থেকে ঢিল ছোড়া এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেফতার করল ভাঙড় থানার পুলিশ। মূলত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করে এই দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম হল সাবিরুল মোল্লা ও সৈকত মণ্ডল।
শনিবার রাতে আজগারকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর তারা চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে ধরে বেঁধে রাখেন। পরে এলাকার আরও মানুষজন জড়ো হয়ে তাকে মারধর করতে শুরু করে। পরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। দীর্ঘক্ষণ সেই অবস্থাতেই পড়ে থাকেন তিনি। রবিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
তবে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভাঙড় বাজারে এমন ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ কেন টের পেল না? কেনই বা দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকার পরেও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করল না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ভাঙড় থানার আইসি ঘটনাস্থলে যান। যে দোকানের সামনে দেহ পড়ে ছিল, সেই দোকান মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেন।
দু’জনকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের নিজেদের হেফাজত চাইবে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে পুলিশ। পাশাপাশি এই খুনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না পুলিশ তাও জানতে চাইছে।
রবিবার সকালে আজগার মোল্লা নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ভাঙড় বাজারে। পরে জানা যায়, চোর সন্দেহে তাকে বেঁধে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, খুনের পর দীর্ঘক্ষণ সেখানে পড়ে থাকলেও পুলিশ আসেনি। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন। জানা যায়, আজগার মোল্লা ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে তবে এলাকায়। নাইট গার্ড থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। তবে নাইট গার্ড দাবি করেন তিনি চলে যাওয়ার পরেই এই চুরির ঘটনা ঘটছে। তিনি থাকাকালীন কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। তাই চোর ধরতে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাতে এলাকা পাহারা দিচ্ছিলেন স্থানীয়রা।