বুধবার বিকেলে লর্ডসের মাটিতে শুরু ইংল্যান্ড – ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট। এই টেস্টেই অবসান হতে চলেছে ক্রিকেটে এক যুগের। অবসর নিতে চলেছেন ইংল্যান্ডের তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। বিশ্বক্রিকেটে অ্যান্ডারসনের মতো সফল জোরে বোলার, টেস্টে দ্বিতীয় নেই, অন্তত পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। কদিন আগেও কাউন্টি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে ধরাসায়ী করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এবং কোচের নির্দেশ মতো এবার তাঁকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে একপ্রকার বাধ্য হয়েই। নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ডের তারকা অবশ্য বলছেন, এখনও আগের মতোই ফিট রয়েছেন তিনি। দলকে নির্ভরতাও দিতে পারেন, তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ আর তাঁর কাছে নেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে জেমস অ্যান্ডারসন বলছেন, ‘আমি এখনও আগের মতোই ফিট রয়েছি, আমি মনে করছি এখনও দলকে নির্ভরতা দেব। তবে সব কিছুর একটা শেষ থাকে, সেটাও বুঝতে হবে আর মেনে নিতে হবে। আমার কাছে আর কোনও উপায়ও নেই। যখন আমাকে ওরা তিনজন ম্যাঞ্চেস্টারে ডেকেছিল তখনই বুঝেছিলাম ওরা কোনও ভালো কারণে আমায় ডাকেনি। তাই ওরা যখন কথাগুলো বলে আমি অস্বাভাবিকরকম শান্ত ছিলাম, যেটা দেখে হয়ত ওরাও অবাক হয়েছিল। আমি একবারও রাগ করিনি বা আবেগতাড়িত হয়ে পড়িনি। আমি নিজের ব্যবহারে নিজেই অবাক ছিলাম ’ ।
শেষ টেস্টে নামার আগে টেস্টে ৭০০ উইকেটের মালিক আরও বলছেন, ‘আমি ওদের দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দিয়েছি, সেটা মেনেই চলেছি। এখন শুধুই আর একটা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আমি জানি আবেগতাড়িত হয়ে পড়ব, কিন্তু আপাতত ম্যাচেই ফোকাস করব, যাতে চোখে জল না চলে আসে। এখনই কোচিং নিয়ে কিছু ভাবছি না, ওরা দেখুক আমি ওদের সঙ্গে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছি কিনা। তবে গত সপ্তাহে ভালো পারফরমেন্স করেছি কাউন্টিতে, তাই ল্যাঙ্কাশায়ার চাইলে আমি খেলতেই পারি, সেটা নিয়ে পরে কথাও বলব ’।
ম্যাঞ্চেস্টারের এই হোটেলে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোক্স এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কয়েক সপ্তাহ আগেই বৈঠক করেছিলেন জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে, সেখানেই তাঁরা জিমিকে জানিয়ে দেন উত্তরসুরি খোঁজা শুরু করতে চাইছেন তাঁরা। ফলে সরে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। এরপরই লর্ডস টেস্টে শেষবারের জন্য ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন ৪১ বছর বয়সী এই পেসার। ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে অবশ্য অবসরের পর থেকেই অন্য ভূমিকায় যোগ দেবেন জিমি, তবে খেলা একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছাড়তে হওয়ায় মন খারাপ তাঁর।