Rohit Pens Heartfelt Note For Dravid: ‘তোমার সাফল্যের ভান্ডারে শুধু বিশ্বকাপ জয়ের অভাব ছিল’

Spread the love

গতবছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে যাওয়ার পরেই ভারতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। এমনটা নয় যে, দলকে জেতাতে পারেননি বলে পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। আসলে প্রথম দফায় ভারতের কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের মেয়াদ শেষ হয়েছিল তখন। পরে বিসিসিআই দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নেয় ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

এবার দলকে টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করিয়েও টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের পদে থেকে গেলেন না দ্রাবিড়। তাহলে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পরেও কেন ফের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রোহিতদের, সেটা খোলসা করেন রাহুল নিজেই। টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে দ্রাবিড় জানান যে, রোহিত ফোন করে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করায় তিনি দ্বিতীয় দফায় ভারতের হেড কোচের দায়িত্ব নিতে রাজি হন।

সুতরাং, কোচ-ক্যাপ্টেন হিসেবে দ্রাবিড় ও রোহিতের সম্পর্ক কত নিবিড়, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। এবার দেশকে বিশ্বকাপের ট্রফি দিয়ে দ্রাবিড় বিদায় নেওয়ার পরে রোহিত যেভাবে কুর্নিশ জানালেন সদ্য প্রাক্তন হেড কোচকে, তা নিশ্চিতভাবেই মন ছুঁয়ে যাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

রোহিত পরক্ষণেই লেখেন, ‘তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি যে সব স্মৃতি আমার সারা জীবনের পাথেয় হবে। আমার স্ত্রী তোমাকে আমার কাজের জগতের স্ত্রী বলে উল্লেখ করে। আমি ভাগ্যবান যে, তোমাকে সেভাবে দেখতেও অসুবিধা নেই। তোমার সাফল্যের ভান্ডারে এই একটা জিনিসেরই (বিশ্বকাপের ট্রফি) অভাব ছিল। সেটা একসঙ্গে অর্জন করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এটা তোমার জন্য সেরা উপহার। রাহুল ভাই, তোমাকে আমার আত্মবিশ্বাস, আমার কোচ ও বন্ধু বলে ভাবতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রাবিড়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে আবেগপ্রবণ শোনায় রোহিতকে। যদিও এক্ষেত্রে মস্করা করতেও ছাড়েননি হিটম্যান। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রোহিত লেখেন, ‘প্রিয় রাহুল ভাই, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য যথাযথ শব্দ খোঁজার চেষ্টা করছিলাম। তবে নিশ্চিত নই সেটা কখনও সম্ভব হবে কিনা। কোটি কোটি মানুষের মতো আমিও ছেলেবেলা থেকে তোমার খেলা দেখে বড় হয়েছি। আমি ভাগ্যবান যে, তোমার সান্নিধ্যে থেকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তুমি যথার্থই ক্রিকেটের মহীরুহ। তা সত্ত্বেও তুমি নিজের যাবতীয় গরিমা ও কৃতিত্ব দরজায় ছেড়ে এসে কোচ হিসেবে আমাদের সাজঘরে প্রবেশ করেছিলে। এমন একটা পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলে, যেখানে আমরা নির্দ্বিধায় যা খুশি বলতে পারতাম তোমাকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *