‘চোর চোর চোরটা!’ কল্যাণ চৌবের সামনে একাই খেলল তৃণমূল

Spread the love

বুধবার মানিকতলায় বিধানসভা উপনির্বাচনে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী।মানিকতলায় বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই তাঁকে ঘিরে শুরু হল চোর চোর স্লোগান। কল্যাণ চৌবের নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। আর তারপরেই ফের ভোটের দাবি বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের(Kalyan Chaubey)।

পরে কল্যাণ(Kalyan Chaubey) বলেন, মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে জানতে পারি। তাদের ধরতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকদের একাংশ বাধা দেন। আমার গাড়ি লক্ষ্য করে লাথি ও ইট মারার পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে এই এলাকায় ফের ভোট করার ব্যবস্থা করা হয়।

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এদিন। এদিকে মানিকতলার তৃণমূল প্রার্থী সুপ্তি পান্ডে বলেন, আমার গাড়ির কাছেই ছিল বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি। কেউ তাড়া করেছে বলে জানা নেই। তবে আমি গণ্ডগোল চাই না। এদিকে তৃণমূলও কার্যত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি মানুষ গোব্যাক স্লোগান তুলেছেন। এতদিন ধরে যে ক্ষোভ তাঁদের মধ্যে ছিল তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।

তবে কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey) অবশ্য ফের ভোটের দাবি তুলেছেন। এমনকী আদালতের যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি যেভাবে এদিন গণ্ডগোল পাকানো হয়েছিল সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

ঠিক কী হল এদিন?
কল্যাণ চৌবে এদিন একাধিক জায়গায় যান। আর সেখানেই দেখা যায় তৃণমূলের কর্মীরা কোথাও জয় বাংলা স্লোগান দিলেন। কোথাও আবার চোর চোর চোরটা বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এমনকী তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টাও চলে। বুধবার দুপুরে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা ভোটগ্রহণকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে দেখতে পেয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে কল্যাণের দাবি বেশিরভাগই বহিরাগত। এদিকে কল্যাণকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। তার গাড়িতে লাথি মারা হয়। এমনকী হাতে পাথর নিয়ে তাড়া করতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *