Trainee IAS officer Pooja Khedkar case: ‘জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি! সিনিয়রের অফিস দখল’

Spread the love

যত সময় যাচ্ছে, তত প্রবেশনারি আইএএস অফিসার পূজা খেদকারকে নিয়ে অভিযোগের বহর বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে যে আইএএস অফিসার হওয়ার জন্য আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরি এবং অন্যান্য অনগ্রসর ক্যাটেগরির (ওবিসি) আওতায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন পূজা। যে প্রবেশনারি আইএএস অফিসারকে ইতিমধ্যে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে ইতিমধ্যে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণেতে অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এখন তাঁকে ওয়াশিম জেলার অ্যাসিসট্যান্ট কালেক্টর করে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রবেশনারি আইএএস অফিসার পূজার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর বাবা এবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াইও করেছিলেন।

ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার অভিযোগ

চাকরি পাওয়ার জন্য পূজার বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরি এবং ওবিসি ক্যাটেগরির আওতায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন পূজা। পোস্টিং পাওয়ার জন্যও বিশেষ সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরির সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য তাঁকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল এইমস। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণ দেখিয়ে তিনি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে যে পূজাকে আরও পাঁচবার দিল্লি এইমসে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দিল্লিতে যাননি। বরং স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট জোগাড় করে জমা দিয়েছিলেন। আর প্রবেশনারি IAS অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করেছিল ইউপিএসসি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পূজা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

‘প্রবেশনারি IAS অফিসার হয়েও সিনিয়রদের মতো আচরণ’

অভিযোগ উঠেছে যে প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, সেগুলি নিচ্ছিলেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যে কাজটা করার অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। শুধু তাই নয়, অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরে যখন থাকতেন না, তখন তাঁর চেম্বারের একাংশ ব্যবহার করতেন। অ্যাডিশনাল কালেক্টরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সেখানেই পূজার বিরুদ্ধে শেষ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে তাঁকে লেটারহেড দিতে হবে। রাখতে হবে নেমপ্লেট। ভিআইপি গাড়ির নম্বর দিতে হবে। সিনিয়ররা যেমন সুযোগ-সুবিধা পান, তাঁকেও সেরকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *