নিজের শখ আহ্লাদ ছেড়ে জীবনকে গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে উৎসর্গ করেছেন অমৃতা বোস গুপ্তা নামে এক মহিলা।বয়স খুব যে বেশি তা নয়। একজন স্মার্ট, উচ্চ শিক্ষিতা, বুদ্ধিমতি মহিলা তিনি।তিনি একসময় দিল্লি প্লাবলিক স্কুলে কেমিস্ট্রির শিক্ষিকা ছিলেন। কলকাতায় তার বসবাস থাকলেও তার মন বরাবরই পড়ে থাকত গ্রাম বাংলার দিকে।সেখানকার শিশুদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।যার কারণে তিনি বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সুন্দরবনের এক প্রত্যন্ত গ্রামে চলে এসেছেন। এবং সেখানে গিয়ে গরীব শিশুদের পড়াশোনা করানোর জন্য সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিশুদের খাদ্যসামগ্রী থেকে পোশাক পরিচ্ছদ সমস্ত কিছু তিনি জোগাড় করে দেন। পাশাপাশি তার একটি এনজিও সংস্থা আছে, সেখান থেকে অনেক দু:স্থ শিশুদের আহার থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস সব কিছুই অমৃতা দেবী প্রদান করেন।
এখানেই শেষ নয়,তিনি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুদের নিয়ে বই পড়ানও। ছোট থেকে বড় সমস্ত বাচ্চাদের ক্লাস তিনি একা দায়িত্ব সহকারে নেন। পড়ানোর পর তাদের দায়িত্ব সহকারে খেতে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই তিনি একা হাতে করেন। বেশ বহু বছর ধরে তিনি তার বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে বাসন্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেছেন,পাশাপাশি শিশুদের আগলে রাখেন মাতৃস্নেহে। শিশুরাও এমন মারুপী দিদিমণি পেয়ে ধন্য। অমৃতা দেবীর বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখান থেকে বহু মানুষ তার পড়ানোর ধরন দেখেছেন।সেখানে দেখা গেছে প্রত্যেকটা শিশুকে তিনি হাতে ধরে পড়াচ্ছেন ও তাদের ভাতও খাইয়ে দিচ্ছেন।এছাড়াও বিভিন্ন পূজা পার্বণে নতুন পোশাক দিতে ভোলেন না দিদিমণি। পাশাপাশি অনেক দু: স্থ পরিবারকেও অর্থ সাহায্য করেন এই মমতাময়ী শিক্ষিকা। যদিও তার তৈরি করা অনেক ভিডিওতে নেটিজেনরা নেগেটিভ কমেন্ট করেন,এমনকি তার শাড়ি পরা নিয়েও নোংরা মন্তব্য করতে ছাড়ে না।আবার কেউ কেউ লেখেন সে নাকি টাকা ইনকামের জন্য এমন ভিডিও তৈরি করেন,কেউ আবার লেখেন তার এনজিও থেকে অনেক কালো টাকা উপার্জন হয়।
নানা মানুষের নানা কথাকে তোয়াক্কা না করে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছেন অমৃতা বোস গুপ্তা। তার এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাই।