যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে, তাতে সেরকম কোনও গলদ নেই বলে জানিয়েছে দিল্লি এইমস। সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তে কোনও গলদ আছে কিনা, তা জানতে দিল্লি এইমসে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই(Cbi)। আর সেটার প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে এইমসের তরফে জানানো হয়েছে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমন কোনও গলদ নেই।
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এইমসের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে সাধারণত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যে বিষয়গুলি থাকা উচিত, সেগুলি নির্যাতিতার পোস্ট-মর্টেমের রিপোর্টে আছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চান বিশেষজ্ঞরা। তারপর অপূর্ব বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলা হয়। আর তারপরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে তাঁদের তেমন কোনও অসন্তোষ বলে জানিয়ে দেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যে একটি বিষয়ের ক্ষেত্রে তাঁরা খামতি দেখতে পান, সেটা খুব বড় কোনও ব্যাপার নয় বলে জানিয়েছেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা। নির্যাতিতার দেহে কী পোশাক ছিল, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়নি। সিজার লিস্টে নির্যাতিতার পোশাকের বিবরণ দেওয়া থাকায় সেই খুঁত নিয়ে সিবিআই বিশেষ চিন্তিত নয় বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
এমনিতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেন বিকেলের পরে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিষয়টি উত্থাপন করা হয় আদালতেও। রিপোর্টে কারচুপির অভিযোগও তোলেন আন্দোলনকারীরা।
তারইমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল এবং কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করেছে সিবিআই। আপাতত জেলেই আছেন আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল এবং কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ। সিবিআই সূত্রের খবর, টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফোনের কল রেকর্ডিং ডিটেলসের ভিত্তিতে তাঁদের জেরা করা হয়। যদিও তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।