Ajit Doval Latest Update। খলিস্তানি পান্নুনের হাত থেকে ডোভালকে ‘বাঁচায়’ মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা

Spread the love

খলিস্তানি জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত সিং খুনের ছকের মামলায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে সমন পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তবে সেই চেষ্টা কার্যত বানচাল করে দেয় মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরাই। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ এবং ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন এনএসএ অজিত ডোভাল। সেই সময় ডোভালকে আইনি সমন ধরানোর চেষ্টা করেছিল পান্নুন। তবে সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের এক বিচারক জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হোটেল কর্মী বা ডোভালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোনও অফিসার বা এজেন্টের কাছে সমনের চিঠি হস্তান্তর করা হয়নি। তাই আমেরিকায় থাকাকালীন ডোভালকে সমন জারি করা হয়নি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা এই সমন জারি করতে দেননি। জানা গিয়েছে, মার্কিন এজেন্টরা পান্নুনের পাঠানো লোককে সমনের চিঠি হস্তান্তর করতে বাধা দেয়। এদিকে যে ব্লেয়ার হাউসে অজিত ডোভাল ছিলেন, তার সামনে সমনের চিঠি রেখে চলে আসরও চেষ্টা করেছিল পান্নুনের পাঠানো সেই লোক। তবে সেটাও করতে দেয়নি মার্কিন এজেন্টরা। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যক্তি নিকটবর্তী স্টারবাক আউটলেটে সেই সমনের চিঠি রেখে যান। যদিও আদালতের বক্তব্য, আইনি ভাবে সেই সমন জারি করা হয়নি অজিত ডোভালকে।

উল্লেখ্য, খলিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদী নেতা তথা মার্কিন নাগরিক গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যাক ছক কষার মামলায় সম্প্রতি ‘জনৈক ব্যক্তি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কমিটি। এফবিআই সেই জনৈক ব্যক্তি – ‘CC1’-কে বিকাশ যাদব বলে চিহ্নিত করেছে। দাবি করা হয়, এই বিকাশ যাদব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের প্রাক্তন অফিসার ছিলেন। এদিকে খলিস্তান ইস্যুতে বিগত দিনে ভারত-কানাডার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায়। সেখানে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিল কানাডা। সেই সময় কানাডার পাশেই দাঁড়িয়েছিল বাইডেন প্রশাসন।

উল্লেখ্য, পান্নুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে নিখিলকে গেফতার করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। গ্রেফতারির প্রায় একবছর পর চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দিয়েছিল মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার পরে নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায়। সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন নিখিল। এদিকে পান্নুন এই মামলাতে পৃথক মামলা করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বরেই ডোভালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল আদালত। তবে সেই সমন ডোভালের হাতে ধরাতে পারেনি পান্নুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *