ধর্মীয় সংঘাত বা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ এক অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের সমস্য়া রোখার উপায় কী? সেই উপায় বাতলালেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই প্রসঙ্গে তাঁর মতামত হল, ধর্মীয় পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন যে কোনও সংঘাত বা বিরোধ রোখার উপায় হল, চিন্তা ভাবনার মুক্ত ও অবাধ আদানপ্রদান। রবিবার এই মন্তব্য করেন অজিত ডোভাল(Ajit Doval)।
একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, এই ধরনের সমস্যা মেটাতে হলে সেখানে রাষ্ট্র এবং সমাজেরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার অবকাশ থাকে। এই দুই উপাদানের অন্তর্দৃষ্টি কতটা সবল ও সচেতন, তার উপরেই নির্ভর করে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক বিরোধ মেটানোর এবং গুরুত্ব আরোপের বিষয়টি।
রবিবার একটি বইপ্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই সমস্ত মতামত ব্যক্ত করেন অজিত ডোভাল। তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন স্কলার আহমেত টি কুরু রচিত সেই বইটির নাম – ‘ইসলাম অথোরিটেরিয়ানিজম: আন্ডারডেভলপমেন্ট – আ গ্লোবাল অ্য়ান্ড হিস্টোরিক্যাল কমপ্যারিজন’। রবিবার এই বইটির হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
রাষ্ট্র এবং ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বারবার যে সংঘাত দেখা গিয়েছে, বা দেখা যায় – তা এক বৃহৎ এবং বিস্তৃত পরিসরের অংশ। সেই বিষয়ে কথা বলার সময়েই ধর্মীয় সংঘাত এবং মুক্ত চিন্তার আদান-প্রদান সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন ডোভাল।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট বইটি প্রকাশনার দায়িত্বে ছিল খুসরো ফাউন্ডেশন। ভিড়ে ঠাসা নয়াদিল্লি বিশ্ব বইমেলায় সেটি প্রকাশ করা হয়।
সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অজিত ডোভাল বলেন, রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, যা ইসলামের জন্য অনন্য কিছু নয়। কিন্তু, আব্বাসীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও ধর্মযাজকদের ভূমিকা ঠিক কী হবে, তা একেবারে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।
আহমেত টি কুরু রচিত এই বইটির প্রেক্ষাপট যে অত্যন্ত বৃহৎ, তা এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও করেন তিনি।
রবিবারের এই বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ তিনিও তাঁর বক্তব্য পেশ করেন।
আকবর বলেন, ইসলামের প্রেক্ষাপট যদি বিচার করতে হয়, তাহলে সুফিবাদ বা সুফি ভাবনা একেবারেই একটি বাস্তব ঘটনা। কারণ, ‘সুফিবাদ আমাদের এমন একটি সম্পর্ক নিয়ে অবহিত হতে শেখায়, যা একেবারেই শত্রুভাবাপন্ন নয়।’