এবার আরজি কর(Rg Kar) কাণ্ডে প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন বিজেপি নেতা ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়(Anirban Ganguly)। আজ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে এক বিশাল প্রতিবাদী মঞ্চের আয়োজন করা হয়।সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা নেত্রীরা।এদিন তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের(Mamata Banerjee) লজ্জা হওয়া উচিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যিনি আবার পুলিশ মন্ত্রী, যিনি আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তিনি নিজেই এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। তার নিজের দায়িত্ব নিয়ে এই ধর্ষণ কাণ্ডের দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত, তিনি তা না করে ধর্ষণ কাণ্ডের দোষীদের শাস্তির জন্য আন্দোলন করছেন। নির্মম ঘটনা ঘটার পরেও রাজ্য সরকার তার পুরো সিস্টেম লাগিয়ে দিয়েছে ধর্ষণ কাণ্ডের প্রমান লোপাটের জন্য।
প্রসঙ্গত আর জি করের মৃত তরুণী চিকিৎসক যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন আগেই আন্দাজ করা হয়েছিল। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে গলা টিপে, নাক-মুখ চেপে ধরে খুন করা হয়। ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, এমন নৃশংস কাজ করতে গেলে একাধিক ব্যক্তির প্রয়োজন। কারও একার পক্ষে একইসঙ্গে গলা টিপে, নাকমুখ চেপে ধরে খুন করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন একটাই, খুনের আগেই কি তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল? নাকি, খুনের পর ধর্ষণ করা হয়? ফরেনসিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞদের কথায়, তা নির্ভর করবে পারিপাশ্বিক পরিস্থিতির উপর। মৃত্যুর আগে অথবা পরে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। গণধর্ষণও চলে।
এমনকি, তাঁর যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ যে করানো হয়েছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে।নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসকের ফুসফুসে রক্ত জমাট (হেমারেজ) বেঁধেছিল। শরীরে আরও কিছু অংশেও জমাট বেঁধে ছিল রক্ত। চিকিৎসক পড়ুয়াকে যে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’ করা হয়েছে রিপোর্টে লেখা রয়েছে তা-ও। যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল (রিপোর্টে লেখা পেনিট্রেশন/ইনসারশন) বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।