বরের নোংরা ম্যসেজ,মানতে পারেনি নববধূ।মাত্র ২ মাস বিয়ে হয়েছিল।বেশ জাঁকজমক করেই মেয়ের পছন্দ মতন পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার।কিন্তু সেই বিয়ের বয়স হল মাত্র ২ মাস।আর এই দুই মাসের মধ্যে পাত্রীর পরিবর্তন হল আকাশ পাতাল। বরের নোংরা চ্যাট দেখে ফেলায় শাস্তি পেতে হল নববধূর।এই বছর ২২ জানুয়ারি অঙ্কনা রায়ের(Ankana Ray) বিয়ে হয়েছিল এক হ্যান্ডসাম চাকুরিজীবী পাত্রের সাথে।বেশ ধূমধাম করে বিয়ে হয় তাদের।মেহেন্দি থেকে শুরু করে বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল মেয়ের বাড়ি থেকে।নতুন জুটিকে দেখে বেশ সুন্দর লাগছিল।যেন মনে হতো made for each other, বৌভাতের ঘনিষ্ঠ ছবিগুলো যেন ঠিক এমনটাই বলছে।কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই বরের আসল চরিত্র দেখে ফেলল অঙ্কনা রায়। কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবতী অংকনা(Ankana Ray)। পড়াশোনায় উচ্চ শিক্ষিত।বলতে গেলে বরের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না সে।দেখতে সুদর্শনা, শিক্ষিতা এক যুবতী।
তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে তার দুটি ছবি পোস্ট করে জীবনের কিছু পরিস্থিতির কথা ক্যাপশনে লিখেছেন।যা দেখে অবাক গোটা নেট মাধ্যম।মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় তার পোস্টটি । সেখানে অঙ্কনা জানুয়ারি মাসে তার বিয়ের একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করেছে পাশাপাশি সেই ছবিটি কোলাজ করে একটি boyez cut চুল করা তারই একটি ছবি পোস্ট করেন।যা দেখে পরিষ্কার তার সাথে ঠিক কি ঘটেছে। অঙ্কনার বিয়ে হয় এই বছরই ২২ জানুয়ারি।বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় তাদের।বিয়েতে খুব খুশি ছিল দুই পরিবার।বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তার কপালে জুটল মারধর। জানা যায়, অঙ্কনা তার স্বামীর সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে কিছু চ্যাট দেখে ফেলেন,যেখানে তিনি বহু নারীর সাথে অশ্লীল নোংরা নোংরা শরীরের অঙ্গ নিয়ে কথা বলত।প্রত্যেক দিন রাতে তাদের সাথে চ্যাট করতেন গুণধর স্বামী।এর প্রতিবাদ করায় অঙ্কনাকে মুখ বেধে অমানবিকভাবে মারধর করত স্বামী।এমনকি এর প্রতিবাদ করত না শ্বশুরবাড়ির কেউ।দিনের পর দিন চুলের মুঠি ধরে অঙ্কনা(Ankana Ray) মারতে থাকে স্বামী।
প্রায় ২ মাস ধরে চলে অমানবিক অত্যাচার।আরও জানা যায়,দিনের পর দিন চুলের মুঠি ধরে মারার কারণে তার চুলে এমন জট পাকিয়ে যায় যে বাধ্য হয়ে অঙ্কনা নিজের চুল কাটতে হয়।এই ঘটনার পর অংকনার বাবা ও মা মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।এইসব ঘটনার পর অঙ্কনা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে।কোনোভাবেই সে আর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করত না।জুন মাসে হঠাৎ তার ফেসবুক প্রোফাইলে বয়েজ কাট চুলের ছবি দেখে অবাক হয়ে যায় তার বন্ধুমহল।এরপরই অঙ্কনা নিজের দুই পরিবর্তনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তার জীবনের সমস্ত ঘটনা লিখে জানায়।আর সেই পোস্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়।পাশাপাশি মিথ্যা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসায় অঙ্কনাকে কুর্নিশ জানায় অনেক নেটিজেনরা। তার এমন সাহস সত্যি ধন্যবাদ কুড়ানোর মতন।কারণ আজকের দুনিয়ায় বহু এমন মহিলা আছেন,যারা মুখ বুঝে সমস্ত অন্যায় সহ্য করেন।তার একটাই কারণ তারা বিবাহিত,বিবাহিত হলেই যে মুখ বুঝে সব সহ্য করতে হবে তা একদমই নয়।অন্যায় করলে তার শাস্তি আছে,তার জন্য আইন আছে।যে অন্যায় করে,আর যে অন্যায় সহে, তারা সম দোষে দোষী।সমাজে প্রত্যেকটা মানুষেরই মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।এমন সাহসী অঙ্কনাদের স্যালুট জানাই।