Arms Import। অস্ত্র আমদানি কমিয়েছে ভারত! তবুও বিশ্বে দ্বিতীয়, প্রথম কে? 

Spread the love

ভারতের অস্ত্র আমদানি ২০১৫-১৯ সাল ও ২০২০-২৪ সালের মধ্য়ে ৯.৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। এই সময়কালের মধ্য়ে সামরিক হার্ডওয়ার রাশিয়া থেকে যেগুলি নিয়ে আসা হয় তার পরিমাণও তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে। সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশানাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট( Sipri) একটি রিপোর্টে একথা জানিয়েছে।

এদিকে এই নতুন তথ্য় এমন একটা সময়ে এসেছে যে সরকার যখন চাইছে আমদানি যতটা সম্ভব কমানো ও আত্মনির্ভরতা যতটা সম্ভব বৃদ্ধি করা।

তবে ভারত এখনও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। ইউক্রেনের পরেই যার স্থান। আর যে ইউক্রেন এখন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত। ইন্টারন্যাশানাল আর্মস ট্রান্সফারের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে নিউ দিল্লির এই অস্ত্র আমদানির বিষয়টি মূলত চিন ও পাকিস্তানের হুমকির জেরে হয়। এর আগে ভারত ছিল বিশ্বের সবথেকে বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ।

এদিকে ২০১৫-১৯ সালের তুলনায় ২০২০-২৪ সালের মধ্যে ইউক্রেনের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী আধিপত্য অব্যাহত রেখেছে, মার্কিন সংস্থাগুলি ২০২০-২৪ সালে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র রফতানিতে তাদের অংশ ৪৩% এ উন্নীত করেছে, যা ২০১৫-২০১৯ সময়কালে ৩৫% ছিল। মার্কিন অস্ত্র রফতানি পরবর্তী আটটি দেশ সম্মিলিতভাবে বিশ্ব বাজারের প্রায় একই অংশ।

এসআইপিআরআই জানিয়েছে, ২০২০-২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী অস্ত্র আমদানির ২৮ শতাংশ ছিল ইউরোপের দখলে, যা ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ছিল ১১ শতাংশ।

২০২০-২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র আমদানির ৮.৮% ইউক্রেন একাই ছিল এবং এই আমদানির অর্ধেকেরও কম ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যা রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পাশ্চাত্যের দেশগুলো ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘাত দেখা দিয়েছে এবং ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউস বলেছে, ভুল পদক্ষেপ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।

এই যুদ্ধ মার্কিন অস্ত্রের উপর ইউরোপের নির্ভরতা তুলে ধরেছে, যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সুরক্ষা কৌশলের ভিত্তি ট্রান্স-আটলান্টিক জোট ক্রমবর্ধমানভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

এসআইপিআরআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২৪ সাল পর্যন্ত ইউরোপের অস্ত্র আমদানির ৫০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে শীর্ষ ক্রেতা ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে।

গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের মার্কিন নীতি প্রত্যাহারের পর প্রতিরক্ষা খাতে আরও ব্যয় করার পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছিলেন।

এসআইপিআরআই অস্ত্র স্থানান্তর কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ গবেষক পিটার ওয়েজম্যান বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রথম শাসন আমলে রাশিয়া ও ট্রান্সআটলান্টিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান যুদ্ধংদেহী হওয়ায় ইউরোপীয় ন্যাটো দেশগুলো অস্ত্র আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং ইউরোপীয় অস্ত্র শিল্পকে শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।

কিন্তু ট্রান্স-আটলান্টিক অস্ত্র সরবরাহের সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বেড়েছে এবং ইউরোপীয় ন্যাটো দেশগুলির কাছে প্রায় ৫০০ যুদ্ধ বিমান এবং অন্যান্য অনেক অস্ত্র এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার করা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্রের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ২০২০-২৪ সময়কালে রাশিয়ার অস্ত্র রফতানি ২০২০-২৪ সময়কালে বিশ্ব বাজারের ৭.৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের চার বছরের সময়কালে ২১ শতাংশ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *