এবার মহাকাশে কৃত্তিম সালোকসংশ্লেষ। আর সেই কৃত্তিম সালোকসংশ্লেষের মাধ্য়মে মহাকাশেই অক্সিজেন তৈরি করলেন চিনের মহাকাশচারী। এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে অক্সিজেন ও রকেটের জ্বালানি তৈরি করলেন তাঁরা। তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে এই কৃত্তিম সালোকসংশ্লেষের মাধ্য়মে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে এর জেরে সবথেকে বড় বিষয় হল আর পৃথিবী থেকে অক্সিজেন নিয়ে যেতে হবে না। শেনঝোউ ১৯ ক্রুরা এই অক্সিজেন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন বলে খবর। অক্সিজেন ও হাইড্রোকার্বন জ্বালানির উপাদান তৈরির জন্য জল ও কার্বন ডাই অক্সাইডকে ব্যবহার করা হয়েছে। যেভাবে গাছের সালোকসংশ্লেষ হয় অনেকটা তেমন কায়দায়।
কীভাবে হয়েছিল সেই কৃত্তিম ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষ?
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, চিনের স্টেট টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে যে কৃত্তিম সালোকসংশ্লেষ সিস্টেম ফিজিকাল ও কেমিক্যাল প্রতিক্রিয়ার মাধ্য়মে হয়। একটি সেমিকন্ডাক্টর ক্যাটালিস্ট ও একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্র কার্বনডাই অক্সাইড ও জলকে অক্সিজেন ও হাইড্রোকার্বন ভিত্তিক জ্বালানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। গবেষকদের বিশ্বাস এই প্রযুক্তির মাধ্য়মে মিথেন ও ফর্মিক অ্য়াসিড তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, অনেকটা ইলেকট্রোলাইসিসের মতো এই প্রক্রিয়া। ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে এই ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় অক্সিজেন তৈরির ক্ষেত্রে।
এদিকে চিনের পরিকল্পনা রয়েছে যে ২০৩৫ সালের মধ্য়ে চিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটা লুনার বেস তৈরি করতে পারে। এই কৃত্তিম ফটোসিনথেসিস টেকনোলজি মহাকাশচারীদের নিশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে চিন মিনি নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর তৈরিতে কাজ করেছে। সূত্রের খবর, ২০৩০ সাল নাগাদ মহাকাশচারীরা চাঁদের মাটিতে পা দিতে পারে। খবর গেজেট ৩৬০ অনুসারে।