প্রবল চাপে ভারত। সেই অবস্থা থেকে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে দলকে টেনে তুলেছিলেন। যে ইনিংসটা প্রথম টেস্টে ফারাক গড়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই সেঞ্চুরির পরে সটান বউ প্রীতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রীতির অভিযোগ ছিল যে কেন তাঁর দিকে তাকাননি ভারতের তারকা অফস্পিনার? অশ্বিনের ঘরের মাঠ চিপকে প্রথম টেস্ট হয়েছে। আর সেই ম্যাচ দেখতে অশ্বিনের পরিবারের সদস্যরা মাঠে ছিলেন।
অশ্বিনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
তারইমধ্যে প্রীতির থেকে তাঁকে যে অভিযোগ শুনতে হয়েছে, সেই বিষয়টি রবিবার ফাঁস করলেন অশ্বিন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের তারকা স্পিনার। প্রথম ইনিংসে তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন ভারতের স্কোর ছিল ছয় উইকেটে ১৪৪। সেখান থেকে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ১৯৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তিনি একাই ১১৩ রান করেছিলেন। তার ফলে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তুলতে পেরেছিল ভারত।
তারপর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের ‘দুর্গ’ চেন্নাইয়ে পিচে টাইগারদের নাকানি-চোবানি খাইয়ে দেন অশ্বিন। ২১ ওভারে ৮৮ রান দিয়ে ছয় উইকেট নেন। রবিবার সকালে প্রথম ঘণ্টায় তাঁকে বোলিংয়ে আনেননি ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর হাতে বল দিতেই বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে। চতুর্থ দিনের লাঞ্চের আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৮০ রানে জিতে যায় ভারত।
স্ত্রীয়ের সঙ্গে খুনসুটিতে মাতেন অশ্বিন
সেই দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন অশ্বিন। তারপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) হয়ে অশ্বিনের ইন্টারভিউ নেন প্রীতি। সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই মেয়ে। আর সেইসময়ই খুনসুটিতে মাতেন অশ্বিন এবং প্রীতি।
অশ্বিন এবং প্রীতির সেই মজাদার কথোপকথন
প্রীতি: তোমার কি মনে হয় যে এই এনার্জিও (নিজেকে দেখিয়ে) তোমার এনার্জি বাড়িয়ে দেয়? (হাসি)
অশ্বিন: (হাসি)… ওর অভিযোগ ছিল যে (চিপক টেস্টের) প্রথমদিনে ওকে দেখিনি (হাসি)। আমি ওদের দেখতে পাইনি। যখন ম্যাচ খেলতে নামি, তখন পরিবারের দিকে তাকানোর কাজটা কঠিন হয়। তবে আমি (এখন) মনে করে (পরিবারের দিকে) তাকাই। কারণ বাচ্চারা বলতে থাকে যে কেন আমাদের হাই বলোনি?
প্রীতি: (অশ্বিনের কথার মধ্যেই হাসতে থাকেন) এখানে নিজেকে ডিফেন্ড (আত্মপক্ষ সমর্থনের) করার জন্য এক সেকেন্ড নেব (হাসি)।
অশ্বিন: তোমায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে হবে না (হাসি)।
প্রীতি: (হাসি) আমি সবসময় হাই বলি না। যখন তুমি সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা থেকে বসে থাকো, তখন শুধু দেখি যে আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে রাজ ….। তবে পরের দু’দিনে সেটা পুষিয়ে দিয়েছো।
অশ্বিন: হ্যাঁ, সেটা আমি করেছি। আর তুমি ভালো জায়গায় ছিলে, যেখান থেকে আমি তোমায় দেখতে পেতাম।
প্রীতি: (হাসি) হ্যাঁ। অভিনন্দন। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় শতরান এবং ফের পাঁচ উইকেট নেওয়ার জন্য।