মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক জুজুতে কাঁপছে বিশ্বের শেয়ার বাজার। এই আবহে আজ ‘কালো সোমবার’-এর আতঙ্ক গ্রাস করেছে বিনিয়োগকারীদের। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার এশিয়ার পুঁজিবাজারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে। শঙ্কিত বিনিয়োগারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির হিড়িক দেখা গিয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা প্রতিফলিত হয়েছে নিক্কেই থেকে কোসপি, হ্যাং সেঙে। আজ জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক কমেছে ৬.৪৮ শতাংশ। এরপর হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
আজ তাইওয়ানের তাইওয়ান ওয়েটেড ইনডেক্সেও বড় ধরনের পতন দেখা গিয়েছে। সেখানের শেয়ার বাজারের প্রারম্ভিক বাণিজ্যেই ৯.৬১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল তাইওয়ানের সূচক। এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার কেওএসপিআই সূচক আজ কমেছে ৪.১৪ শতাংশ এবং চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে ৬.৫ শতাংশ। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্ক সূচক এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০-ও ৩.৮২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ার বাজারে বিক্রির হিড়িক কেবলমাত্র বড়বড় অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়েও এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে যার জেরে গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে এই ভূমিকম্প, সেই ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড়। একদিকে ‘কালো সোমবার’ আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের। অপরদিকে আমেরিকাতেই ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলন দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিটি প্রদেশে। তবে ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না। এই আবহে আমেরিকা ও বিশ্ব বাজারে বিশাল পতনের ইঙ্গিত ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আবহে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া, এই শুল্ক হল ‘ওষুধ’। ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তে গলফ খেলা শেষে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক সময় কোনও কিছু ঠিক করার জন্য ওষুধ খেতে হয়।’ বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারের অস্থিরতা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘বাজারে কী হতে চলেছে, আমি আপনাকে বলতে পারবা না। কিন্তু আমাদের দেশ অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সপ্তাহান্তে শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তাঁরা চুক্তি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।