নিউ মার্কেট থেকে ফেরার পথে দুই হকারের উপর হামলার অভিযোগ। শনিবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুই ব্যবসায়ীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে। গোটা ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আক্রান্ত এক ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্য়মে দাবি করেছেন, মার্কেট থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তোলা চাইছিল ওরা। কিন্তু তারা বিপুল টাকা দিতে পারেননি। এরপরই তাদের উপর হামলা।
রামানুজ সিংহ ও তার ভাইয়ের উপর এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত এক ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, নিউ মার্কেট থেকে আসছিলাম। পিজির কিছু আগে আমাদের আটকাল কয়েকজন। আমাদের কাটারি দিয়ে, চাকু দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালালো।
কারা হামলা চালিয়েছে?
একাধিক নাম তিনি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ওরাও টিএমসি। আমরাও টিএমসি। আগে হকার সুরক্ষা ইউনিয়ন বলে একটা ইউনিয়নে ছিলাম। সেটাও টিএমসির পতাকারই ছিল। এখন তিনি অন্য় ইউনিয়নে চলে আসেন। সেটাও টিএমসির। এরপরই তার উপর হামলার অভিযোগ।
ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ওরা তিন লাখ আগেই নিয়েছে। আবার ২ লাখ টাকা চাইছিল। সেটা দিতে পারিনি। আরও হকারদের কাছ থেকে টাকা চাইছিল।
শনিবার গভীর রাতে তাদের স্কুটার আটকায় তারপর একের পর এক ধারালো অস্ত্রের কোপ। এই ঘটনায় দুজন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্য়েই দুজন অভিযুক্তকে আটক করেছেন।
গোটা ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, নিউ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় হকারি করার জন্য়ও নির্দিষ্ট টাকা শাসকদলের দাদাদের দিতে হয়। না হলে ছাড়পত্র মেলেনা। জোড়াফুলের পতাকার তলায় এই সব অপকর্ম চলে বলে খবর। তবে তৃণমূল অবশ্য় এই তোলাবাজির অভিযোগ কোনও দিন স্বীকার করে না। তাদের দাবি, তারা কোনও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নয়।
তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য় রোজ এই তোলাবাজি নিয়ে তিতিবিরক্ত। এমনকী কে তোলাবাজির টাকা তুলবে তা নিয়ে একাধিক প্রভাবশালীর মধ্য়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর সেই দ্বন্দ্বের মাসুল গুনছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। দলের নামে তোলাবাজি অথচ দল কি সত্যিই কিছু জানে না? কাদের প্রশয়ে এই কাজ চলছে?
একঅভিযুক্ত জানিয়েছেন, এখানে টাকার কোনও গল্প নেই। আমরা ফুটপাতে ওদের তুলে দিয়েছিলাম। ওরা আবার পিচের উপর দোকান দিচ্ছে। পুলিশ আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিক।