Bangkok Earthquake। ভূমিকম্পে বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে নথি হাতানোর চেষ্টা

Spread the love

চারিদিকে ধ্বংস্তূপ। সদ্য ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে কার্যত বিধ্বস্ত ব্যাঙ্কক। তারই মাঝে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে তদন্তে নেমেছে ব্যাঙ্ককের পুলিশ। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ককে এক নির্মিয়মান বিল্ডিং ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ে। আর সেই ভেঙে পড়া বিল্ডিংএর ধ্বংসাবশেষ থেকে নথি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগে ৪ চিনা নাগরিককে আটক করা হয়েছে ব্যাঙ্ককে।

থাইল্যান্ডের নিউজ পোর্টাল ‘দ্য নেশন’র খবর অনুসারে, গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে এক বহুতল ভেঙে পড়ার পর ধ্বংসাবশেষের এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ ও ফাইল হাতানোর অভিযোগে আটক করা হয় ওই ৪ চিনা নাগরিরককে। অভিযোগ সেখান থেকে ৩০ টি ফাইল চুরি করার অভিযোগ রয়েছে ওই চিনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, যে বিল্ডিং নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি চিনের সমর্থিত নির্মিয়মান প্রজেক্টের অংশ। সেদিনের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ওই বিল্ডিং নিমেষে ভেঙে পড়ে। ৭.৭ কম্পনের মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাঙ্ককের বহু জায়গা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিকে, সেই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকেই একটি অংশ থেকে ওই ৪ চিনা নাগারিক কী তথ্যের নথি হাতানোর চেষ্টা করছিলেন, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়, প্রশ্ন। পুলিশের তরফে নোপাসিন পুলসওয়াত জানিয়েছেন, ৪ চিনা নাগরিক ওই জায়গা থেকে একাধিক ফাইল সরাচ্ছিলেন। পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ৪ চিনা নাগরিকের মধ্যে ১ জনের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। যে নির্মাণ সংস্থার অংশ ও ভেঙে পড়া বিল্ডিং, সেই সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার ধৃতদের মধ্যে একজন। 

পরে আরও তিনজনকে পাওয়া যায় এবং চুরি যাওয়া নথিপত্র উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ব্লুপ্রিন্ট এবং ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন কাগজপত্র। ইতিমধ্যে, আটক ব্যক্তিরা কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা করেছেন যে তাঁরা প্রকল্পের সাথে জড়িত নির্মাণ সংস্থার জন্য কাজ করা উপ-ঠিকাদার ছিলেন। তাঁদের বক্তব্য অনুসারে, ভবনকে ঘিরে সংস্থার ‘দাবি’ রয়েছে, তা প্রমাণ করার প্রক্রিয়ার জন্য ফাইলগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অস্থায়ী অফিসে সাইটে সংরক্ষণ করা হয়েছিল ওই ফাইল, এমনই তথ্য ‘নেশন থাইল্যান্ড’ জানিয়েছে। পুলিশ চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে দুর্যোগ অঞ্চলে প্রবেশ করা এবং সংবেদনশীল নথিপত্র সরিয়ে ‘জনসাধারণের জন্য করা ঘোষণা’ লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *