গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে ঘিরে একাধিক খবর কাড়তে শুরু করে শিরোনাম। জল্পনা ছিল অভ্যুত্থান ঘিরেও। এরপর পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জলরাশি। এবার ঢাকার বুকেই সেদেশের সেনানিবাসে বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকারউজ জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রসংঘের তাবড় কর্তা।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় রাষ্ট্রসংঘের শান্তি কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়ার সঙ্গে এদিন সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর প্রধান ওয়াকার উজ-জামান। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার আত্নীয় তথা বাংলাদেশের এই সেনা প্রধানের সঙ্গে জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়ার সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে এই সাক্ষাত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, সাক্ষাতে কুশল বিনিময়ও হয়েছে। পাশাপাশি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে খবর। আলোচনা হয়েছে আরও এক বিষয়ে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মোতায়েন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি ইস্যুতেও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও খবর বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্ট সূত্রে। সোমবার এই সাক্ষাতের বিষয়ে বাংলাদেশের সেনা বাহিনীর ফেসবুক পেজে জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘের অন্যতম এই শীর্ষকর্মকর্তার মুখে এদিন ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এ মোতায়েনরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসাও উঠে আসে।
এদিকে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের তরফে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত ও ভবিষ্যৎ মোতায়েনের বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আশ্বস্ত করেন যে, আগামী দিনেও এই অঙ্গীকার অটুট থাকবে।
এর কিছুদিন আগেই রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশে সৌহার্দ্য ধরে রাখার বার্তা দেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামান। ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে ‘সম্প্রীতি ভবনের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ ওয়াকার উজ জামান বলেন,’ আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। এই দেশ সবার। হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান,মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।’,’আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না।’