Bangladesh Army-Awami League ‘Conspiracy’। ২৬ মার্চের আগেই খেলা ঘোরার ইঙ্গিত বাংলাদেশে

Spread the love

২০২৪ সালের ৫ অগস্ট সেনাবাহিনীর ‘সেফ প্যাসেজ’ পেয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। বর্তমানে তিনি ভারতে আছেন। আওয়ামি লিগের একাধিক নেতাও নাকি বাংলাদেশে আছেন বলে অভিযোগ করা হয় ঢাকার তরফ থেকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামিপন্থীরা বিগত কয়েক মাস ধরে দাবি করে এসেছেন, ২৬ মার্চ নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে আওয়ামি লিগ। এমনিতে জুলাই-অগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রলিগ নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হয়নি। হাসিনার দল নিয়ে সাম্প্রতিককালে তাই অনেক জল্পনা ছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে? এমনকী সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস নিজেই বলে দেন, দোষীদের বিচার হলেও আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করবে না তাঁর সরকার। আর এতেই বেঁকে বসেছে বাংলাদেশের নতুন দল ‘এনসিপি’। হাসনাত, সারজিস, নাহিদদের দাবি, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তবে বিএনপি এককালে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেও এখন ‘সুর বদলাচ্ছে’ ধীরে ধীরে। এই আবহে এবার এনসিপি নেতা হাসনাত সরাসরি সেনাবাহিনীর দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করলেন, তারা নাকি দেশে আওয়ামি লিগকে ফেরাতে ষড়যন্ত্র করছে। এবং এই গোটা পরিকল্পনা আদতে ভারতের।

সম্প্রতি তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, তাঁদের নাকি ঢাকা ক্যানটনমেন্টে ডেকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ‘রিফাইন্ড-আওয়ামি লিগ’কে মেনে নিতে হবে। তবে হাসনাতরা নাকি সেই ‘চাপের’ সামনে মাথা নত করেননি। বরং সেই বৈঠক মাঝপথে ছেড়েই চলে এসেছিলেন। ১১ মার্চের সেই বৈঠকের কথা হাসনাত ২০ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাতে তিনি বলেন, এক সেনা কর্তা নাকি তাঁদের ‘ধমকেছেন’। সেনা নাকি তাঁদের বলেছেন, ‘তোমরা কিছুই জান না। তোমাদের অভিজ্ঞতা নেই। আমরা ৪০ বছর ধরে সার্ভিসে আছি। তোমার বয়সের থেকে বেশি। আওয়ামি লিগ ছাড়া সার্বিক নির্বাচন সম্ভব নয়।’ এদিকে নিজের পোস্টের কমেন্ট সেকশনে হাসনাত একটা জায়গায় লেখেন, ‘আমি মরলে মানুষ জানুক কেন মরতে হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ সেনার মধ্যেই অভ্যুত্থানের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই সেনা নাকি এখন ‘হাসিনা বিরোধী’ ছাত্র নেতাদের ধমকে আওয়ামি লিগকে দেশের রাজনৈতিক ধারায় ফেরাতে চাইছেন। আর হাসনাতের এই বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের মাত্র কয়েকদিন আগেই এল। এই আবহে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড়সড় ধরনের পরিবর্তনের জল্পনা তৈরি হয়েছে এবারে। এই আবহে এনসিপি এবং তাদের সমর্থনকারীরা ফের অশান্ত করে তুলতে পারে ঢাকা। শেখ মুজুবির রহমানকে মুছে ফেলার তাঁদের প্রচেষ্টায় জল ঢালতে কঠোর হতে পারে সেনা।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। এদিকে হাসিনার দেশত্যাগের ৬ মাস পূরণের আবহে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ দিন ধরে বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা চলে। এর আগে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বা রেসিডেন্ট পারমিট বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। হাসিনাকে সরকারি ভাবে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনাকে বৈধ ভাবে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। এরই মাঝে নানান মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার। তবে হাসিনার দলকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে নারাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *