শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার পুটিয়ায় সংঘর্ষ হয় বিএসএফ এবং বাংলাদেশি পাচারকারীদের। সেই সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন জওয়ান এবং একজন বাংলাদেশি চোরাকারবারী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে, শুক্রবার ভারতীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে চোরাচালানের জন্য পুটিয়া হয়ে রাজ্যে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশিরা। সেই সময় কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মীরা ২০ থেকে ২৫ জন বাংলাদেশি পাচারকারীর একটি দলকে লক্ষ্য করে। প্রাথমিক ভাবে বিএসএফ তাঁদের সতর্ক করে সীমান্ত পার করতে বারণ করে। এরই মাঝে দু’বার জওয়ানদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই এক রাউন্ড রবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। তাতে জখম হয় এক পাচারকারী।
এদিকে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেই পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে বিএসএফের রবার বুলেটেই। মৃতের নাম মহম্মদ আল-আমীন, বয়স ৩২ বছর। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া গ্রামে। ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের পরই বিএসএফ তাকে গুলি করেছিল। কালের কণ্ঠের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির দেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রাখা আছে।
এদিকে ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কৈলাশহর হয়ে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করতে গিয়ে সম্প্রতি ১৩ জন বাংলাদেশি ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে। এছাড়াও আরও ৩ জন ভারতীয় দালাল ধরা পড়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি এই দলটি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। অনুপ্রবেশকারীদের দলটির মধ্যে ছিলেন – তিনজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা। এছাড়াও, এই দলে সাতটি শিশু ও নাবালক ছিল। এই ১৩ জনের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলবীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং বরিশালে। এদিকে অন্য একটি ঘটনায় একটি যৌথ তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দুই ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করা হয় আগরতলার রেল স্টেশন থেকে। এছাড়াও, আরও একটি যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আরও দুই বাংলাদেশি নাগরিককে। পুরোনো ওএনজিসি-র কাছে ত্রিপুরা পুলিশ ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের চিহ্নিত ও পাকড়াও করে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে একটা অংশ আবার নদী দ্বারা বিভাজিত। স্থলভাগের সীমান্ত অংশের অধিকাংশ অংশেই কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও মাঝের কিছু এলাকা ‘খোলা’ রয়েছে। মূলত, এই কাঁটাতারবিহীন অংশ দিয়েই বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। চলে পাচার।