Bangladeshi Arrested। ত্রিপুরায় পাকড়াও ১৫ বাংলাদেশি

Spread the love

অনুপ্রবেশ করার এবং অনুপ্রবেশ করানোর অভিযোগে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ২০ জনকে গ্রেফতার করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরায়। সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া এই ২০ জনের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক। বাকি পাঁচ জন ভারতীয়। তাঁরা আদতে দালাল বলে জানা গিয়েছে। এঁরা মূলত বেআইনিভাবে সীমান্তের এক দিক থেকে অন্য দিকে লোক ঢোকানোর কারবারের সঙ্গে যুক্ত।

ধৃত এই ২০ জনের মধ্য়ে ১৩ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং তিনজন ভারতীয় দালালকে প্রাথমিকভাবে পাকড়াও করে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, এই ১৬ জন বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) গোপনে উনাকোটি জেলার কৈলাশহর হয়ে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের পাকড়াও করে বিএসএফ।

এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের দলটির মধ্যে ছিলেন – তিনজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা। এছাড়াও, এই দলে সাতটি শিশু ও নাবালক ছিল। এই ১৩ জনের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলবীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং বরিশালে।

এই ১৩ জন বাংলাদেশির সঙ্গে যে তিনজন ভারতীয় দালালকে পাকড়াও করা হয়, তাঁদের নাম পরিচয় ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে। এঁরা হলেন – কাজল দাস, অজিত দাস এবং প্রসেনজিৎ দেবনাথ। এঁরা যথাক্রমে – অসমের শিলচর ও উনাকোটি জেলা এবং ত্রিপুরার ধলাই জেলার বাসিন্দা।

অন্য একটি ঘটনায় একটি যৌথ তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দুই ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করা হয় আগরতলার রেল স্টেশন থেকে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের রাতে বিএসএফ ও জিআরপি-র যৌথ অভিযানে এই দু’জনকে পাকড়াও করা হয়।

এছাড়াও, আরও একটি যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আরও দুই বাংলাদেশি নাগরিককে। পুরোনো ওএনজিসি-র কাছে ত্রিপুরা পুলিশ ও বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের চিহ্নিত ও পাকড়াও করে। সূত্রের দাবি, এই দুই বাংলাদেশি আগেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। ভারত থেকে গোপনে বাংলাদেশ ফেরার পথে তাঁদের ধরা হয়। এই ঘটনাটিও ঘটে বৃহস্পতিবার।

প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে একটা অংশ আবার নদী দ্বারা বিভাজিত। স্থলভাগের সীমান্ত অংশের অধিকাংশ অংশেই কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও মাঝের কিছু এলাকা উন্মুক্ত রয়েছে।

মূলত, এই উন্মুক্ত অংশ দিয়েই বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। চলে মানবপাচার-সহ আরও নানা ধরনের অসাধু কারবার। এই সমস্ত সীমান্তে তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হয় নিরাপত্তাবাহিনীকে।

তাদের হাতে প্রায়ই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি,রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ ধরা পড়ে। এছাড়া, মাঝেমধ্যেই নিষিদ্ধ মাদক, অস্ত্র প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *