Bangladesh’s Request to Adani। ‘এখন আদানির সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই’, গরম আসতেই ‘বড় আবদার’ 

Spread the love

গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে আর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি। তবে গ্রীষ্মের আগে আদানির থেকে পুরো বিদ্যুৎ চাইল বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্যে ঝাড়খণ্ডে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র আদানি স্থাপন করেছে, তার উৎপাদন ক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। তবে বকেয়া না মেটানোয় আপাতত আদানি ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বাংলাদেশকে।

হাসিনা জমানার চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছর ধরে আদানির থেকে বিদ্যুৎ কেনার কথা বাংলাদেশের। এই আবহে বিপিডিবির চেয়ারম্যান মহম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্তমানে আমরা মাসে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার করে দিচ্ছি। আমরা আরও বেশি অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। বকেয়ার পরিমাণ কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এখন তাই আদানির সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই।’

এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের কাছ থেকে আদানির পাওনার পরিমাণ ৮৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এই আবহে বকেয়া মেটাতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে আদানি। জানানো হয়েছে, জুনের মধ্যে এই বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে লেট ফি বাবদ জরিমানা ধার্য করা হবে। এরই মাঝে গত ৯ জানুয়ারি আদানি ও পিডিবির প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল।এর আগে গত ২০২৪ সালের অক্টোবরে সময়মতো বকেয়া না মেটাতে পারায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। এদিকে আদানির বকেয়া মেটানো নিয়ে টালবাহানার মাঝেই আদানির সঙ্গে চুক্তির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশের আদালতে মামলাও হয়েছে।

ল্লেখ্য, হাসিনা জমানায় দরপত্র ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাকি চুক্তি করা হয়েছিল আদানির সঙ্গে। এই আবহে চুক্তি নিয়ে আছে বিতর্ক। এদিকে যে বিশেষ ক্ষমতা আইন বলে আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছিল, সেই আইন বাতিল করেছে বর্তমানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এদিকে বাংলাদেশের অভিযোগ, আদানির সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে কিছু অনিয়ম নাকি তারা খুঁজে পেয়েছে। এই সবেরই মাঝে আদানির মিটারে বাংলাদেশের বিল বেড়েই চলেছে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *