Bankura Factory Incident: চুল্লি থেকে গলিত লোহা উপচে পড়ল শ্রমিকদের শরীরে

Spread the love

ভয়াবহ হাড়হিম করা ঘটনা। বাঁকুড়ার(Bankura) বড়জোড়া ব্লকের ঘুটগড়িয়া শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানায় গলিত লোহায় ঝলসে গেলেন ৯জন শ্রমিক। তাঁদের অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গলিত লোহা উপচে তাদের শরীরের উপর পড়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগেই সেই লোহায় ঝলসে যায় তাদের শরীর।

ফেরো অ্যালয় কারখানার এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে চুল্লি থেকে গলিত লোহা ছিটকে শ্রমিকের শরীরে পড়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেটা আটকানোর জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল. সেই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।

এদিকে বর্তমানে ওই শ্রমিকদের চিকিৎসার উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের যাতে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। অন্যান্য শ্রমিকরাই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করে।

পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজন শ্রমিক জখম হয়েছিলেন। কিন্তু তারা চাপা পড়ে যাননি। আর যারা চাপা পড়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছি। পুলিশ জানিয়েছে, পরে আরও একজনের খোঁজ মেলে। সব মিলিয়ে আটজনের দেহ মিলেছে।

সূত্রের খবর, ভূট্টাগুলি একটি ফানেলে রাখা ছিল। এদিকে সেই ফানেলটা প্রচুর ভারী ছিল। এদিকে শ্রমিকরা ওই বিরাট ভুট্টার দানার নীচে চাপা পড়ে যান। প্রায় ১০০ টন ভূট্টার দানা তাদের উপর চাপা পড়ে যায়।

মৃতরা সকলেই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। পেটের টানে তাঁরা বিহার থেকে কর্ণাটকে গিয়েছিলেন।

আর এবার বাংলার বাঁকুড়ার কারখানায় হল বিরাট দুর্ঘটনা।

বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ভাটির লোহা ৮-৯জনের শরীরে পড়ে যায়। তাদের অবস্থা গুরুতর। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কারখানাকে বলতে চাই পরিমাণ মতো জল ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে রাখবেন।

বিধায়ক হাসপাতালে গিয়েও শ্রমিকদের চিকিৎসার নানা দিক সম্পর্কে তদারকি করেন। তাদের যাতে সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে। এদিকে বড়জোড়া শিল্প তালুকে আগেও গলিত লোহা ছিটতে আহত হওয়ার ঘটনা হয়েছিল।

এদিকে কারখানায় দুর্ঘটনা বাংলায় এর আগেও একাধিকবার হয়েছে। ফের সেই দুর্ঘটনা কারখানায়। কেন শ্রমিকদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় না সেই প্রশ্ন উঠছে।

এর আগে কর্ণাটকের একটা কারখানায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়েছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসের ঘটনা।

কর্ণাটকে একটা বিরাট মেশিনের একাংশ ভেঙে পড়ে ভুট্টার নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা।আটজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল সেবার। কর্ণাটকের একটি গোডাউনে ১০০ টন ভুট্টার দানার নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। আলিয়াবাদ শিল্প তালুক এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সূত্রের খবর, মৃতরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। তারা বিহার থেকে কর্ণাটকে কাজ করতে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *