BCCI কর্তাদের হ্যাংলামিতে মোক্ষম খোঁচা TMC MP তথা প্রাক্তন কাপজয়ীর

Spread the love

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা আসলে জিতেছে কারা? রোহিত শর্মা(Rohit Sharma), বিরাট কোহলিরা(Virat Kohli)? নাকি জয় শাহ(Jay Shah), রাজীব শুক্লারা? এমন প্রশ্ন ওঠা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে! চলছে তীব্র সমালোচনা। রোহিত শর্মাদের বিজয় উৎসবে যে ভাবে জয় শাহ, রাজীব শুক্লারা ফুটেজ পাওয়ার জন্য হ্যাংলামো করে গেলেন, তাতে মনে হচ্ছিল, তাঁরাই এই বিশ্ব জয়ের আসল বিশ্বকর্মা। রোহিত, কোহলিরা তো নেহাৎ-ই দুধেভাতে!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন রজার বিনি, জয় শাহরা। সেই সময় দেখে প্রচারের আলোয় জোর করে আসা শুরু জয় শাহের। বিসিসিআই-এর সর্বোচ্চ পদে থাকলেও, রজার বিনিকে পাত্তা না দিয়ে, নিজেই রোহিতের হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন জয় শাহ। বাবা দেশের মন্ত্রী, বিজেপির মুখপাত্র অমিত শাহ। সেখানে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হলে কী হবে, জয় শাহের সামনে বিনির কোনও গুরুত্ব আছে নাকি! বাবার মদতে তিনিও তো এখন বড় মাতব্বর। রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছে এই দেশের ক্রিকেটারদের বরাবরই পিছিয়ে পড়তে হয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে জয় শাহদের তোয়াক্কা করতেন না, তাই তাঁকে সরে যেতে হয়েছে। অথচ জয় শাহ বহাল তবিয়তে রয়ে গিয়েছেন।

কীর্তি আজাদ আবার তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি। দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপি-র জাঁদরেল নেতাকে এবার লোকসভা ভোটে হারিয়েছেন তিনি। যে কারণে রাজনৈতিক দিক থেকেও খোঁচা মারার মঞ্চ একেবারে প্রস্তুতই ছিল। সেই সুযোগটা কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি কীর্তি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে জয় শাহ, রাজীব শুক্লাকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, ‘আসলে বিশ্বকাপটা জিতেছে অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ এবং রাজীব শুক্লা। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং ভারতীয় দল একেবারেই সাইডলাইনে। বিশ্বের কোথাও কর্মকর্তাদের সংবর্ধনার সময় টিমের সঙ্গে বসতে দেওয়া হয় না। নির্লজ্জ সুবিধাবাদী।’

এখানেই শেষ নয়। রোহিত শর্মারা ভারতের ফেরার পর থেকেই সর্বত্র জয় শাহ এবং তাঁর সঙ্গী রাজীব শুক্লার হ্যাঙ্গলামো বড়ই দৃষ্টিকটু। সে বিমানবন্দর হোক, বা প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি, অথবা মুম্বইয়ে হুটখোলা বাসে রোহিতদের বিজয় মিছিলে- জয় শাহদের দাদাগিরি দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরাই যেন মাঠে খেলে বিশ্ব জয় করে ফিরছেন। ওয়াংখেড়েতে তো আরও ভালো ঘটনা ঘটল। যেখানে ক্রিকেটারদের বসানোর ব্যবস্থা হয়েছিল, সেখানে সামনের সারিতে এক কোণায় বিরাট, রোহিতরা। রাহুল দ্রাবিড়কে তো ছবিতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মধ্যমণি হয়ে বসেছিলেন জয় শাহ, রাজীব শুক্লারা। যেন তাঁরাই আসল হিরো। এই সব দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ। বিষয়টি ভালো ভাবে নিতে পারছেন না ক্রিকেট প্রেমীরাও। আর এই সব কাণ্ড-কারবার দেখে জয় শাহদের একহাত নিতে কোনও ভুল করেননি ১৯৮৩ বিশ্বজয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *