পঞ্জাবের বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়ার বাড়ির বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার ভোরে এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা সুরক্ষিত রয়েছেন। ঘটনার পর মনোরঞ্জন কালিয়ার বাড়িতে ছুটে যান পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন কালিয়া বলেন, ‘রাত ১টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। আমি ঘুমাচ্ছিলাম। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে আমি তখন ভেবেছিলাম যে এটা হয়ত বজ্রপাতের কারণে হয়েছে … পরে আমাকে জানানো হয় যে এটা বিস্ফোরণ ছিল। এরপর আমি আমার বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীকে থানায় পাঠিয়ে দিই। সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন এখানে।’
জলন্ধরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মনপ্রীত সিং জানিয়েছেন, ফরেনসিক দল প্রমাণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে। পুলিশ কমিশনার ধনপ্রীত কৌর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাত ১টা নাগাদ আমরা বিস্ফোরণের খবর পাই। এরপরই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করি। ফরেনসিক টিম বিষয়টি তদন্ত করছে। আমরা সিসিটিভিতেও নজর রাখছি। এটি গ্রেনেড হামলা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক দল।’
গত মাসে জলন্ধরের এক ইউটিউবারের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক মহিলা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্ত অমৃতপ্রীত সিং চুহারওয়ালি গ্রামের কাছে এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য একটি ঘটনায় অমৃতসরের খান্ডওয়ালা এলাকার ঠাকুর দ্বার মন্দিরের বাইরে বিস্ফোরক ছুড়ে মারে দুই অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারী। এতে কেউ হতাহত না হলেও বিস্ফোরণে মন্দিরের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জানালার কাচ ভেঙে যায়। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঞ্জাবের পুলিশ স্থাপনার বাইরে ১০টি সিরিজ বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।