ভ্যাকসিন(Vaccine) দেওয়া হয়েছিল শিশুকে। তারপরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ও পরে মৃত্য হল শিশুর। এমন ঘটনায় সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিবারের সদস্যরা। এই অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে। স্থানীয় এবং শিশুর আত্মীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শিশুর বয়স দেড় মাস। বুধবার তাকে লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ঝাড়মাটিয়ালি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন মা কবিতা অধিকারী ও বাবা কৌশিক অধিকারী। সেখানে শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এর পরে তারা শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে রাত হতেই বিপজ্জনক হয়ে উঠে পরিস্থিতি। জ্বরে শিশুর গা কার্যত পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। তখন শিশুকে জ্বরের ওষুধ খাওয়ান তার মা। কিন্তু, তারপরও জ্বর কমছিল না। কিছুক্ষণ পরেই হাঁচির সঙ্গে শিশুর মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে।
শিশুর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে দেখে ওই দম্পতি গাড়ি ভাড়া করে তাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে নিয়ে যান। তবে সেখানে শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, ভ্যাকসিন দেওয়ার গন্ডগোলের কারণে শিশুর মৃত্য হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে লাটাগুড়ির ক্রান্তি মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। মৃতদেহ দেহ কোলে নিয়েই তাঁরা ক্রান্তি মোড়ে ময়নাগুড়ি-লাটাগুড়ি ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
এবিষয়ে মালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) দীপঙ্কর কর জানিয়েছেন, শিশুটির অপুষ্টিজনিত সমস্যা ছিল। তাছাড়া, সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল শিশু। নিয়ম মেনেই তাকে ভ্যাকসিন হয়েছিল। কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতি ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি। আধিকারিক আরও জানান, পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতেই পারে। ময়নাতদন্ত হলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এদিকে, এই ঘটনার পরেই এদিন সকালে বন্ধ থাকে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। কোনও স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।