CEC rescued after 17 Hrs। কপ্টার বিপর্যয়ের জেরে নির্জন গ্রামে রাত কাটালেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার

Spread the love

দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ১৭ ঘণ্টা আটকে পড়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের এক প্রান্তিক গ্রাম রালামে। সেই সময়ের রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি ও সেই পরিস্থিতি থেকে ত্রাণ পাওয়ার ঘটনা সদ্য সামনে এসেছে। রাজীব কুমার ও তাঁর কয়েকজন সহকর্মী গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রান্তিক ভোট গ্রহণ কেন্দ্র মিলামের পর্যবেক্ষণে। এদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে, তাঁদের হেলিকপ্টার রালাম গ্রামে আটকে পড়ে। সেখানেই হয় তাঁদের অবতরণ। এরপরের ঘটনা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো!

কী ঘটেছিল সেই রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে?

১২ হাজার ফুট উচ্চতার এলাকা। তাপমাত্রা তখন শূন্যের নিচে। প্রায় থরথর করে কাঁপুনি দেওয়া অবস্থায়, হেলিকপ্টার নামে রালাম গ্রামে। বরফমোড়া উপত্যকায় যখন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর টিম ত্রাণ পেতে চাইছেন, সেই সময় তাঁদের উদ্ধারে কার্যত ত্রাতায় ভূমিকায় পৌঁছে যান বেঙ্গালুরুর এক ট্রেকার ও তাঁর দুই পোর্টার। এরপর সেই নির্জন গ্রামের এক জনশূন্য বাড়িতে তাঁদের সকলের রাত কাটে। প্রবল ঠান্ডার মাঝে কাঠ জ্বালিয়ে ধরানো হয় আগুন। নির্বাচন কমিশনের টিমের অনেকের কাছেই তখন ওই ঠান্ডা মোকাবিলা করার মতো উলের পোশাক ছিল না।

কাঠে আগুন ধরিয়ে বানানো হয় নুডলস!

 এদিকে, সেই কাঠে জ্বালানো আগুনে, তখন ওই ট্রেকার ও তাঁর পোর্টাররা নুডলস তৈরি করে কমিশনার ও তাঁর টিমকে দেন। আর সেটি খেয়ে কেটে যায় রাত। পিথোরাগড়ের জেলাশাসক বলছেন, ওই গ্রামে একজনও বাসিন্দা থাকেন না। তাঁরা সকলেই পাহাড়ের নিচের দিকে বসবাস করছেন। গ্রামটিতে নেই বিদ্যুৎ বা কোনও সংযোগ। শুধু কাজ করে স্যাটেলাইট ফোন।

উদ্ধারের ঘটনা:-

১৭ ঘণ্টা প্রধান কমিশনার ও তাঁর টিম রালাম গ্রামে আটকে থাকেন। এরপর ওই অফিসারদের উদ্ধারে আসে আইটিবিপির টিম। স্থানীয় গ্রাম পান্টো থেকেও কয়েকজনকে পাঠানো হয়। পান্টো গ্রামের বাসিন্দারা ওই রালাম গ্রামে পৌঁছন রাত ১.২০ মিনিটে। আইটিবিপির আগেই তাঁরা পৌঁছে যান। এরপর অফিসারদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সিয়ারি। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় দেরাদুনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *