Champions Trophy, Ind vs NZ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে NZর তুরুপের তাস কে?

Spread the love

রবিবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ স্টেজের সাক্ষাৎে এই নিউজিল্য়ান্ডকেই কদিন আগে হারিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় দল। এবার তাই  কিউয়িদের কাছে বদলার ম্যাচ। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দুই ৫০ ওভারের ইভেন্টেই ভারতীয় দল অলউইন রেকর্ড জারি রেখেছে কিউয়িদের বিরুদ্ধে। তবে পরিসংখ্যান বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই নিউজিল্যান্ড দলেরও।

একঝলকে দেখে নেওয়া যাক ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পথে বাধা তৈরি করতে পারে কোন কোন বিষয়গুলো।

দুবাইতে নিউজিল্যান্ডের খেলার অভিজ্ঞতা

ভারতীয় দল যেমন দুবাইতে এবারের ICC Champions Trophyতে চারটি ম্যাচ খেলেছে, তেমন নিউজিল্য়ান্ডও এই মাঠে একটি ম্যাচে খেলেছে। ভারতের কাছে হেরেছে, কিন্তু এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে ঠিকঠাক অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করে নিয়েছে তাঁরা।

কেন উইলিয়ামসন-রাচিন রবীন্দ্রর ফর্ম

ভারতীয় দলের প্রধান চিন্তার কারণ হতে পারে কেন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্রর ফর্ম। রবীন্দ্র এবারের প্রতিযোগিতায় জোড়া শতরান করে ফেলেছেন। কেন উইলিয়ামসন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে শতরান মিস করার পর দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শতরান করে ছন্দেই রয়েছেন।

নিউজিল্যান্ড দলেও রয়েছে একাধিক স্পিনার

ভারতীয় দল দুবাইয়ের মাটিতে চার স্পিনারে খেলছে। তাঁদের মধ্যে জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল স্পিনার অলরাউন্ডার। তেমন নিউজিল্যান্ড দলেও রয়েছে তিন স্পিনার অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস এবং মাইকেল ব্লেসওয়েল। তাঁদের মধ্যে স্যান্টনার এবং ব্রেসওয়েল নিয়মিত উইকেট পাচ্ছেন, ফলে দুবাইয়ের কন্ডিশনে ভারত একাই সুবিধা পাবে, সেকথা ভুল।

গ্লেন ফিলিপসের ক্যামিও

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঝে মধ্যেই দেখা গেছে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস শেষদিকে এসে ঝড়ের গতিতে রান তুলে চলে গেছেন। বেশ কয়েকটা ম্যাচেই শেষদিকে তাঁর ক্যামিও থেকে আসা রানগুলোই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন গত ম্যাচেও তিনি মাত্র ২৭ বলে ৪৯ রান করেছিলেন দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তাঁর দুর্দান্ত ফিল্ডিং।

দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৬২ রান

গত ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশাল ৩৬২ রান তোলায়, তাঁর আগের ম্যাচে ভারতের কাছে ২০৫ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে কিউয়িরা। ফলে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকেও ব্ল্যাক ক্যাপসরা রয়েছে ভালো জায়গায়। এছাড়াও দলে ৪ বাঁহাতি ব্যাটার থাকাও কিউয়িদের সুবিধা দিতে পারে।

দলের ফাস্ট বোলারদের ফর্ম-

এমনিতে ভারতীয় দলের ব্যাটাররা ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ভালোই খেলেছে। সেটা শুভমন গিল রোহিত শর্মা হোক বা পরের দিকে হার্দিক পাণ্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা। তবে নিউজিল্যান্ডের রুরকি, হেনরিরা যদি শুরুর দিকে ভারতের ওপর চাপ দিয়ে দেন, তাহলে বিরাটকে উইকেটে থাকতেই হবে। কারণ হাই টেম্পারমেন্ট ম্যাচে রোহিত বা বিরাট যদি জলদি আউট হয়ে যায়, তাহলে শ্রেয়স-গিল বা অক্ষররা এই ম্যাচ আদৌ বের করতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ থাকবে। কারণ তাঁরা ব্যাটার ভালো 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *