অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দিকে এক ধাপ এগিয়েছে ভারত। তবে এবারের আইসিসি ইভেন্টে সঙ্গে মিল রয়েছে ২০২৩ ওডিআই বিশকাপেরও, যেখানে সব দলকে হারিয়ে অপরাজিতভাবে ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি। সেবারও কোহলি এবং শামি ছিলেন দুরন্ত ফর্মে, এবারও তারা আছেন অসাধারণ ছন্দে। ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পথে বাধা এখন নিউজিল্যান্ড, আর ভরসার নাম বিরাট কোহলি(Virat Kohli)।
এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিরাট কোহলি শুরু থেকেই রয়েছেন ভালো টাচে।রয়েছে শতরান, অর্ধশতরানও। তিনিই গত টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন দরকারের সময়, আর ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা নেওয়ার এর থেকে ভালো মঞ্চ হয়তো হতে পারেনা, তবে তার জন্য বিরাটের রানের মধ্যে থাকা দরকার। সেমি ফাইনালে ৯৮ বলে করা ৮৪ রানটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। এবারও তেমন কিছু ঝলক দেখানোর লক্ষ্যে কিং।
‘যতদিন ব্যাটিংয়ের জন্য ভালোবাসাটা বেঁচে থাকবে’
বিসিসিআইকে দেওয়া ম্যাচের শেষের সাক্ষাৎকারে বিরাট কোহলি বলছিলেন দলের সবার ফর্মে থাকা দলের শক্তি বাড়িয়েছে। তার কথায়,’ আমি শুধুই খেলা ভালবাসি। আমি ক্রিকেটটা খুব ভালোবাসি। যতক্ষণ ব্যাটিংএর জন্য আমার ভালোবাসাটা বেঁচে থাকবে, ততদিন বাকি সব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে না। এমনভাবেই খেলতে হবে যেন বেপরোয়া না হয়েও নিজের সেরাটা দেওয়া যায়। আমি কেরিয়ারের যে সময় রয়েছি তাতে আমার কাছে বিষয়টা হচ্ছে এই ধরনের ম্যাচেই জ্বলে ওঠার, নিজের খেলাকে উপভোগ করার। আর এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের জন্য অবদান রাখা। আর যখন এই সবগুলোই একসঙ্গে হয়, আর দলও জিতে যায় তখন তার আনন্দটাই একদম আলাদা।’
বিরাট কোহলি বলছিলেন, ‘ দলের যখন সকলে ভালো খেলে আর দল যেতে তখন সেই অভিজ্ঞতাটা খুবই ভালো হয়। হার্দিক খুব গুরুত্বপূর্ন সময় ওই দুটো শট মেরেছিল, তাই সবাই দল হিসেবে খেলে দল জেতায় তো নিঃসন্দেহে খুশি। কেএল ম্যাচ শেষ করেছে ভালো ইনিংস খেলে, শ্রেয়সও আমার সঙ্গে ভালো পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিল। আমাদের জন্য বিষয়টা হচ্ছে অল রাউন্ড এফোর্টের। দলের সবাই বেশ খুশি রয়েছে আমরা এভাবে ফাইনালে ওঠায়। হাতে এখন কিছুদিন সময় রয়েছে। ফাইনালেই ফোকাস করছি।’