এনডিএ’র শরিক দল টিডিপির সুপ্রিমো তথা অন্ধপ্রদেশে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু(Chandrababu Naidu) কংগ্রেস শাসিত তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আগেই। তিনি সাক্ষাতের জন্য রেড্ডিকে চিঠিও দিয়েছিলেন। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে এই সাক্ষাৎ নয় তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেই মতোই দেখা করলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার চন্দ্রবাবু তেলাঙ্গানায় হায়দরাবাদে রেড্ডির সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে প্রজা ভবনে দেখা করেন।
এদিনের বৈঠকে দুটি উচ্চস্তরের যৌথ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একটি কমিটি দুই রাজ্যের প্রধান সচিবদের নিয়ে গঠিত হবে এবং অন্যটি দুই রাজ্যের মন্ত্রীদের নেতৃত্বে গঠিত হবে। এই কমিটি দুই রাজ্যের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবে। জানা গিয়েছে, আধিকারিকদের কমিটি সমস্যা সমাধানের জন্য দুই সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক করবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা নিজদের।মধ্যে আলোচনা করবে। যদি সমাধান না হয় তাহলে মন্ত্রীদের কমিটি আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু, সেখানেও সমস্যার সমাধান না হলে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে মাদক ও সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে সহযোগিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিন প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মূলত গত একদশক ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে যে সমস্যা চলে আসছে তা সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করার জন্য এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয়েছিল পৃথক রাজ্য তেলাঙ্গানা। কিন্তু, রাজ্য পুনর্গঠন আইন কার্যকর হওয়ার পর তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যে একাধিক সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এখনও প্রায় ১৪ টি বিষয় রয়েছে যা চূড়ান্ত হয়নি। মূলত সম্পদের বিভাজন, রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া এবং অবশিষ্ট কর্মচারীদের তাদের নিজ রাজ্যে স্থানান্তরের মতো সমস্যাগুলি দুই রাজ্যের মধ্যে অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। মূলত সেই সমস্যা নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে।