চন্দ্রযান ৫(Chandrayaan 5) মিশন। কেন্দ্রীয় সরকার এই চন্দ্রযান ৫ মিশনকে অনুমোদন করেছে। প্রায় ২৫০ কেজি ওজনের রোভারকে নিয়ে যাবে চাঁদের পিঠে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন একথা জানিয়েছেন।
এটা চন্দ্রায়ন কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ। এটি ইন্ডিয়ান লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম বলেও পরিচিত। খবর এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে।
ভারতের চন্দ্রযান ৩ কর্মসূচি। এটা গোটা বিশ্বের কাছে একটা বিরাট ব্যাপার। সেবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছিল চন্দ্রযান। আমেরিকা, চিন, পূর্বতন রাশিয়ার পরে ভারত হল চতুর্থ দেশ যে দেশ চাঁদের বুকে নামিয়েছিল চন্দ্রযান।
সেবার চন্দ্রযান ৩ চাঁদের বুকে নামিয়েছিল প্রজ্ঞানকে। ২৫ কেজি ওজনের একটা রোভারকে। এবার চাঁদের বুকে নামবে ২৫০ কেজির রোভার। জাপানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এই মিশন করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, এই অ্যাডভান্সড রোভার চাঁদের উপরিভাগের ও চাঁদের ভূত্বক কী দিয়ে তৈরি সেটা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য় সংগ্রহ করবে।
তিনি জানিয়েছেন, মাত্র তিনদিন আগে আমরা চন্দ্রযান ৫ মিশনের অনুমোদন পেয়েছি। আমরা এটা জাপানের সঙ্গে একযোগে করছি।
২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল চন্দ্রযান ১। এটা সফল হয়েছিল। এটা চাঁদের পিঠের মাপ নিয়েছিল। চন্দ্রযান ২ ২০১৯ সালে হয়েছিল। একেবারে শেষ ধাপে গিয়ে সফল হতে পারেনি এই অভিযান। তবে প্রচুর ছবি পাঠিয়েছিল। ২০২৭ সালে চন্দ্রযান ৪ অভিযান করবে ইসরো। মূলত চাঁদের নমুনা সংগ্রহের জন্য এটা করা হবে। পরের দশকে চন্দ্রযান ৫ ও চন্দ্রযান ৬। ২০৩৫ সালের মধ্য়ে ৪৪ বিলিয়ন স্পেস সেক্টরকে স্পর্শ করার জন্য় এই অভিযান। চন্দ্রযানের পাশাপাশি গগনযান মিশনের পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। এর মাধ্য়মে প্রথম মানুষ যাবে ভারতের তরফে মহাকাশে। তার প্রস্তুতিও চলছে। এরপর আছে শুক্র অভিযান। তবে সরকারিভাবে তার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে এর নাম হতে পারে শুক্রযান ২০২৮।
এখানেই শেষ নয়, ভারতের স্বপ্ন আরও অনেক বেশি। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে নানা উদ্যোগ ইসরোর। ভারত চাইছে ২০৩৫ সালের মধ্য়ে ইন্ডিয়ান স্পেস স্টেশন তৈরি করা। এখানেই শেষ নয়ষ ২০৪৫ সালে ভারতের আরও বড় মিশনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই মিশনের মাধ্যমে ভারত চাইছে যাতে চাঁদের বুকে কোনও ভারতীয়কে পাঠানো যায়। সেই স্বপ্নেরও দিন গোনা চলছে অনেকেরই মনে।