কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরিতে টেস্ট টিউব ফেটে বিস্ফোরণে জখম দশম শ্রেণির এক ছাত্র। বারাকপুরের এই ঘটনায় স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্কুলে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চলাকালীন আচমকাই দুর্ঘটনা।তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনাটি ঘটার পর ছাত্রকে উদ্ধারের বদলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্কুলের তরফে ল্যাব দুর্ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ।বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজারের কাছে নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা।
সৌভিকের শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে তার পরিস্থিতি অবস্থার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন সৌভিকের পরিবার। তার মায়ের দাবি, স্কুল থেকে ফোন করে তাঁকে আসতে বলা হয়। তার পর ধীরে সুস্থে সব জানানো হয়। আর সৌভিকের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলে যখন অগ্নিদগ্ধ (Burnt) অবস্থায় ছোটাছুটি করছিল, তখন দুজন শিক্ষক সেখানে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা বা ব্যবস্থা কিছুই করেননি। তাঁর আরও দাবি, ছেলেই নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামাকাপড় খুলে ফেলেছিল। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ল্যাবে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করছিল সৌভিক বিশ্বাস নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্র। পরীক্ষা চলাকালীন একটি টেস্ট টিউব ফেটে তার মধ্যে দাউদাউ আগুন (Fire)জ্বলতে থাকে। বিস্ফোরণের জেরে তার শরীরেও আগুন লেগে যায় বলে খবর। এই দুর্ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে ল্যাবে (Laboratory) উপস্থিত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা সতর্ক হয়ে ওঠেন। সৌভিককে উদ্ধারের পরিবর্তে তাঁরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এমনকী পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি যাতে না প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য সৌভিককে সরকারি হাসপাতালের বদলে বেসরকারি জায়গায় ভর্তি করা হয়েছে।