কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে কড়া অবস্থান নিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে আবেদনকারীর দায়ের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করতে এবং নাগরিকত্ব সম্পর্কে একটি স্পষ্ট রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৫ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে কি না সেটা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
কর্ণাটকের এস ভিগনেশ শিশিরের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি এ আর মাসুদি এবং বিচারপতি রাজীব সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগের শুনানির সময় ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল এসবি পান্ডে আদালতকে জানিয়েছিলেন যে আবেদনকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক রাহুল গান্ধীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব সম্পর্কে বিশদ জানতে চেয়ে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে এবং তাই অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের সময় প্রয়োজন।
এই মামলায় আবেদনকারীর পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে তার কাছে ব্রিটিশ সরকারের সমস্ত নথি এবং কিছু ইমেল রয়েছে যা প্রমাণ করে যে রাহুল গান্ধী একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং এই কারণে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য। তিনি লোকসভার সদস্য পদে থাকতে পারবেন না। এর ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদে বহাল থাকার বিরুদ্ধে রিট অফ অথরিটি জারির নির্দেশও চেয়েছেন আবেদনকারী।
এর পাশাপাশি, পিটিশনে রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি এভাবে তদন্ত করার জন্য সিবিআইয়ের আদেশও চাওয়া হয়েছে, এটি ভারতীয় বিচার বিভাগীয় কোড এবং পাসপোর্ট আইনের অধীনে অপরাধ। আবেদনকারী আরও বলেছেন যে তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে দু’বার অভিযোগ পাঠিয়েছেন কিন্তু তাদের দ্বারা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমান আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে।