না আমাকে সাহায্য করতে হবে না। আমি যা পারি যতটুকু পারি ততটুকু দিয়েই ওদের দেব। পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার(Civic Volenteer)। যা বেতন পায় তা দিয়ে শুধু সংসার চলে না সাথে চলে ব্যবসাও।এই ব্যবসা বড় ব্যবসা নয়, গরীর শিশুদের সাহায্যের ব্যবসা। কি বুঝতে পারলেন না তো? মাত্র ৭ টাকা, মাত্র ৩ টাকা, মাত্র ৫ টাকা আবার মাত্র ১০ টাকায় দু:স্থ বাচ্চাদের পোশাক দিচ্ছেন বিরাটী পশ্চিম নবনগরের অমিত সরকার(Amit Sarkar)।
ছোট থেকে অভাব কাকে বলে দেখেছেন তিনি।অভাবের কারণে প্রতিবেশীর দেওয়া অন্ন গ্রহণ করতে হয়েছিল তাকে। টাকা না থাকলে মানুষের যে কি কি করুণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় তা তিনি হারে হারে টের পেয়েছেন। আর সেই ছোট থেকেই মনে জেদ নিয়েছিল বড় হয়ে গরীব শিশুদের জন্য কিছু করবে। সেই মত দিনের পর দিন ধরে করে চলেছেন অমিত বাবু। সকালে নিমতা চত্বরে যানবাহন সামলানোর কাজ করেন। প্রখর রোদের মধ্যে গাড়ি যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করার পর গরীব বাজার খোলেন তিনি। পশ্চিম নবনগরের তেঁতুলতলায় ছোট একটি দোকান আছে তার, সেখানে তিনি খুবই সামান্য টাকায় গরীব দু:স্থ শিশুদের পোশাক দেন তিনি।
সামান্য বেতন পেয়ে সংসার চালিয়ে কিছু টাকা রেখে সেই টাকা দিয়ে শিশুদের মাত্র ৩ টাকা, ৫ টাকা, ৭ টাকায় জামা কাপড় দিয়ে চলেছেন। অমিত বাবু জানান, তার পক্ষে একদম বিনামূল্যে জামা কাপড় দেওয়া সম্ভব নয়, যার কারণে খুবই অল্প টাকায় পোশাক বিক্রি করেন তিনি। তার বাড়িতে মা বাবা, স্ত্রী ও একটি ছোট পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসার ও ছেলের পড়াশোনা চালানোর সাথে দু:স্থ শিশুদের পাশে থাকেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় গরীব শিশুদের জন্য একদম বিনামূল্যে পোশাক দিয়েও এসেছেন বলে জানান অমিত বাবু।
তার উদ্দেশ্য সে যেন এমনভাবেই ছোট ছোট দু:স্থ শিশুদের পাশে থাকতে পারেন। তবে তার এই মহৎ কাজে তিনি কারোর সাহায্য চান না। কেউ যদি সাহায্য করতে চান তাহলে সেটা আলাদাভাবে করতেই পারেন কিন্ত তার কাজের জন্য কারোর থেকে একটি টাকাও নিতে নারাজ অমিত সরকার। যতটুকু তিনি রোজগার করেন ততটুকুর মধ্যেই তিনি গরীব শিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, আগামীদিনেও পাশে থাকবেন।স্বার্থপরতার দুনিয়ায় অমিত সরকারের মতনও মানুষ রয়েছে, যিনি কিনা বিনা স্বার্থে দিনের পর দিন ধরে ছোট ছোট শিশুদের পাশে রয়েছেন, অমিতবাবুর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আগামীদিনে আরও শিশুদের পাশে দাঁড়াক তিনি এই কামনাই রইল।