Civic volunteer molestation case। হাইকোর্টে মামলা করবেন পার্ক স্ট্রিটের নির্যাতিতা সিভিক

Spread the love

পার্কস্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল থানারই এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর অভিষেক রায়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে  অভিযুক্তের জামিনে সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতা। তাই এবার সাব ইন্সপেক্টরের জামিনের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন নির্যাতিতা সিভিক ভলান্টিয়ার। এদিকে, ঘটনার পরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই ট্রমা কাটিয়ে পুনরায় তিনি পার্কস্ট্রিট থানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। 

কর্মস্থলে হেনস্থার শিকার হয়েও অবশ্য কাজ ছাড়তে রাজি নন নির্যাতিতা সিভিক ভলান্টিয়ার। বরং তিনি ডিউটি চালিয়ে যেতে চান। ইতিমধ্যে তিনি পার্কস্ট্রিট থানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে এবার তাঁকে রাতের পরিবর্তে দিনের বেলায় থানায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পার্ক স্ট্রিট থানার কম্পিউটার সেলে কাজ করে আসছিলেন ওই মহিলা। এবারও কম্পিউটার সেলে আগের মতো তিনি ডিউটি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তের শাস্তি দাবিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। তার জামিনের বিরোধিতায় মামলা দায়ের করবেন। প্রসঙ্গত, স্নাতক পাশ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল দিন কয়েক আগে।

অভিযোগ ওঠে পুজোর জামা দেওয়ার নাম করে অভিষেক রায় তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনাটি ঘটে রাত ১ টা নাগাদ। তাঁকে বিশ্রাম কক্ষে ডেকে পাঠিয়েছিলেন এসআই। এর পর সেখানে মদ্যপ অবস্থায় তাঁকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার পর মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার অভিযোগ জানালে সে ক্ষেত্রে প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে জানা যায়। শুধু তাই নয় নির্যাতিতাকে এই বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। তবে তাতে রাজি হননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আদালতে তোলা হলে তিনি জামিন পেয়ে যান। এই ঘটনায় থানার মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। তাছাড়া এমন একটি গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেও কীভাবে অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গেলেন তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

নির্যাতিতা সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারেরা সদস্যরা জানান, ঘটনার পরে সিভিক ভলান্টিয়ার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে সেই অবসাদ কাটিয়ে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *