CJI on Ayodhya verdict। ঈশ্বরের কাছে রাম জন্মভূমি মামলার সঠিক সমাধান চেয়েছিলাম

Spread the love

২০১৯ সালে যখন রাম জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ কর্তৃপক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদের আইনি শুনানি চলছিল, তার মাধ্যমে যাতে স্থায়ী সমাধানসূত্র বের হয়, সেই সময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। রবিবার একথা বলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

এদিন, মহারাষ্ট্রের খেদ তালুকে অবস্থিত কানহেরসর গ্রামে আয়োজিত একটি সমাবেশে যোগ দেন প্রধান বিচারপতি। সেই জমায়েতের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, যদি কারও মনে বিশ্বাস থাকে, তাহলে ঈশ্বর সর্বদাই তাকে পথ দেখায়।

উল্লেখ্য, যে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে রাম জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত বিবাদের মামলা বিচারের জন্য উঠেছিল এবং যে বেঞ্চের রায়ে অবশেষে কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা এই বিবাদের নিষ্পত্তি হয়েছিল, সেই বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

এদিন তিনি বলেন, একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত এই মামলাটি তাঁর কাছে তিনমাস বিচারাধীন অবস্থায় ছিল। তাঁর দাবি, সেই সময় তিনি ঈশ্বরের দ্বারস্থ হন এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আর্জি জানিয়ে প্রার্থনা করেন।

প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘আমাদের কাছে ঘন ঘন মামলা আসে। কিন্তু, আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি না। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। ওই মামলাটি আমার কাছে তিনমাস বিচারাধীন ছিল। আমি আমার উপাস্যের কাছে গিয়ে বসলাম। এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করলাম, তিনিই যাতে আমাকে সমাধানের পথ দেখান।’

প্রধান বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন, তিনি প্রতিদিন প্রার্থনা করেন। বলেন, ‘আমার কথা বিশ্বাস করুন। যদি আপনার মনে বিশ্বাস থাকে, ঈশ্বর আপনাকে অবশ্যই পথ দেখাবেন।’

এরই মধ্য়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বলেন, সমাজে সকলের নিজ নিজ দায়িত্ব রয়েছে। তাঁদের সেই দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। সমাজের কল্যাণে এবং নিরাপত্তার জন্য এটা জরুরি।

এর উদাহরণ হিসাবে জলবায়ুর পরবর্তনের প্রসঙ্গে টানেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন কিন্তু কেবলমাত্র সমৃদ্ধ সমাজকেই প্রাভাবিত করবে না। একইসঙ্গে, সবথেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা মানুষটিকেও সমানভাবে প্রভাবিত করবে।

তাঁর কথায়, ‘এটা যে আমাদের বাধ্য হয়েই করতে হবে, এমনটা শুধু নয়। বিশ্বব্যাপী শিল্প স্থাপনের সময় আমাদের পূর্বপুরুষরা যে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলির নির্গমন ঘটিয়েছেন, আমরা তারই ফলাফল আজ ভোগ করছি। কিন্তু, তারপরও আমাদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যাতে আমাদের সমাজ সুরক্ষিত থাকে। কারণ, আমরা জানি যে জলবায়ুর পরিবর্তন কেবলমাত্র সমৃদ্ধ সমাজকেই প্রভাবিত করবে না। একইসঙ্গে, সবথেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা মানুষটিকেও সমানভাবে প্রভাবিত করবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *