CM on Aparajita Bill। ধর্ষণ রুখতে কেন আনতে হল অপরাজিতা বিল?

Spread the love

আর জি কর কাণ্ডের আবহে একদিকে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, ঠিক সেই ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই রাজ্য বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল পাস করে রাজ্য সরকার। বিরোধী বিজেপি বিধানসভার অন্দরে এই বিলের বিরোধিতা না করলেও তারা কিছু সংশোধনী আনতে চেয়েছিল, যা রাজ্য সরকার গ্রাহ্য করেনি বলে অভিযোগ।

বিজেপির বক্তব্য, ধর্ষণ রোধে এবং নারী সুরক্ষায় ইতিমধ্যেই কঠোরতম শাস্তির বিধান-সহ নয়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর মাধ্যমে। তাহলে রাজ্যে আলাদা করে অপরাজিত বিল পাস বা আইন প্রণয়নের কী প্রয়োজন ছিল?

বিরোধীদের তোলা এই প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় শীর্ষ নিবন্ধ রচনা করেছেন দলনেত্রী স্বয়ং। তাতে আর জি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা-সহ অপরাজিত বিল পাস এবং সংশ্লিষ্ট আরও একাধিক ঘটনা উল্লেখ করেছেন মমতা। দিয়েছেন নানা ব্যাখ্যা। যার শিরোনাম হল – ‘কেন এই আইনটা করলাম ? কেন ? কেন ? কেন ?’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুযোগ, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ রুখতে দেশজুড়ে যাতে আরও কঠোর আইন বলবৎ করা হয়, সেই আবেদন জানিয়ে দু’বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, দিল্লি থেকে সেই চিঠির কোনও জবাব আসেনি।

তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও দাবি, এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ফোন ধরেননি। এমনকী, এরপরও তাঁর দফতর থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও ফোন আসেনি।

এই ফোনালাপ না হওয়া প্রসঙ্গে মমতা তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন, ‘…দেখলাম, শুনলাম, অপেক্ষা করলাম। তারপর আমি মেয়েদের অধিকার রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার, সেগুলো করেছি। উনি কোনও পদক্ষেপ না করে ওঁর কাজ করেছেন। তাতে আমার দুঃখ নেই, এটাই স্বাভাবিক।’

অর্থাৎ, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্পষ্ট বার্তা, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার নারী নিরাপত্তা ও ধর্ষণ প্রতিরোধে তাঁদের দাবি মতো সংশোধিত ও কঠোরতম কোনও আইন প্রণয়ন করেনি, সেই কারণেই বাংলার সরকার রাজ্য বিধানসভায় ‘অপরিজিতা বিল, ২০২৪’ পাস করায়। উল্লেখ্য, এই বিলে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ফাঁসির বিধানও রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই বিল পাস করার সময় বিধানসভায় দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আর জি করের মতো ঘটনা যাতে আর কোনও দিন ঘটে এবং যেকোনও ধর্ষণের অভিযোগে যাতে সর্বাধিক দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে এবং দোষীকে চিহ্নিত করে তাকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়, তার জন্যই এই বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *