বন্যা টুডু(Bonya Tudu)। রবিবার সিপিএমের ব্রিগেডে অনেকেরই নজর কেড়েছেন বন্যা টুডু। মঞ্চ থেকে তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে একেবারে তৃণমূল স্তরের সিপিএম কর্মীদের মন ভরে গিয়েছে। বুথে বুথে লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন বন্যা। রোদ মাথায় নিয়ে বন্যার বক্তব্য শুনেছেন সাধারণ সিপিএম কর্মীরা। এরপর একে একে বাড়ি ফিরেছেন। কারোর মনের মধ্য়ে হতাশা। কেউ হয়তো একটু হলেও আশার আলো দেখছেন।
বন্যাও ফিরেছেন। কিন্তু ফেরার আগে মঞ্চ থেকে নেমে ব্রিগেডের মাঠ ঝাঁট দিয়েছেন তিনি। লাঠির মাথায় বাঁধা ঝাঁটা। সেই ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দিলেন বন্যা। সেই ভিডিয়ো দেখে চমকে গিয়েছে নেটপাড়া। সোনার ঝাড়ু নয়, একেবারে সাধারণ ঝাঁটা দিয়ে ব্রিগেড ঝাঁট দিলেন বন্যা। এই ছবি দেখে অনেকে বলছেন পরিকল্পিতভাবে চমক দিল সিপিএম।তবে কেউ কেউ বলছেন ক্ষেতমজুর সংগঠনের এই নেত্রীকে ঘিরে নতুন করে আশা জাগছে অনেকের মনে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, আমাদের নেতা নেত্রীরা টলিউড স্টুডিয়ো থেকে উঠে আসেন না। উঠে আসেন মাঠে ময়দানে থেকে লড়াই করেই।
সূত্রের খবর, ব্রিগেডের মাঠে অনেকেই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। এদিকে, ওদিকে কাগজপত্র পড়ে ছিল। নানা জায়গায় প্লাস্টিকের প্যাকেট। তাঁরা মিটিং শেষ করে যে যার মতো চলে যান। ব্রিগেডের মাঠে পড়েছিল অনেক কিছু। সেই সময় দেখা গেল সিপিএম কর্মীদের একাংশ সেই মাঠ পরিস্কার করছেন ঝাঁটা হাতে।
আর বন্যা টুডুও ঝাঁটা হাতে নেমে পড়েন। মঞ্চ থেকে নেমে তিনি ঝাঁটা হাতে ব্রিগেড ঝাঁট দিতে শুরু করেন। অনেকেই বলছেন বন্যা একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসছেন। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে। সেকারণে তিনি মাটিটাকে খুব ভালো করে চেনেন। সেকারণে ঝাঁট দেওয়াটা আলাদা কোনও ব্যাপার নয়।
আর মঞ্চেও অত্যন্ত সহজ ভাষায় আগামী দিনের লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেন বন্যা। বন্যা তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘ওরা বলছে, খেলা হবে, খেলা হবে। খেলা তো আমরাও করব। খেলা আমরাও করব। শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা বলেছি, ব্যাটও নেব, বলও করব। ছাব্বিশে আমরাও দেখিয়ে দেব। ছাব্বিশের নির্বাচনে আমরাও দেখিয়ে দেব। উইকেট আমরা ফেলব ছাব্বিশে। ছাব্বিশে আমরা উইকেট ফেলবই।’
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লড়াইয়ের কথা বলছেন নেত্রী বন্যা। কিন্তু ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে লড়াই কি আদৌ মনে রেখেছে সিপিএম? সেই লড়াইয়ের রাস্তায় কি আবার ফিরতে পারবে সিপিএম?